বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নাইকো দুর্নীতি মামলা

জেলখানার আদালতেই খালেদার বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার এখন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসেই হবে। গতকাল এজলাস স্থানান্তরসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এর আগে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে বসে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবির মামলাটি শুনছিলেন। আজ এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শেষ দিকের বিচারও অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলখানার এজলাসে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এ বিচারাধীন বিশেষ মামলা নম্বর ১৬/২০০৮, যা তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর ২০(১২)০৭-এর বিচার কার্যক্রম ঢাকা মহানগরীর বকশীবাজার এলাকায় সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বর্ণিত মামলার বিচার কার্যক্রম চলাকালে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে বিধায় নিরাপত্তার কারণে এ মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ঢাকা মহানগরীর ১২৫ নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর ৭-কে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাস ক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাই কোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে ও রুল দেয়। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক আমিনুল ইসলাম ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর