সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনে সব দলকে স্বাগত, গণতন্ত্র হবে শক্তিশালী

প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তাদের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে শক্তিশালী করবে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই এবং যে দল জনগণের ভোট পাবে তারা নির্বাচনে জিতবে। তিনি বলেন, ১ নভেম্বর  থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে ‘আমরা একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিরোধী দলগুলো সংলাপে বিশেষ কিছু দাবি তুলেছে এবং আমরা সেগুলোর অধিকাংশই মেনে নিয়েছি। সরকার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সবাই যেন সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭০টি রাজনৈতিক দলের ২৩৪ জন রাজনৈতিক নেতা সংলাপে অংশ নিয়েছেন, যা ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এবং তার দল সব সময় চায় উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকুক এবং এই ধারা যাতে থেমে না যায়। আওয়ামী লীগ সভানত্রীে বলেন, আমরা সব সময় এটাই চাই যে, আমরা যে উন্নয়নটা করেছি তার ধারা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতিটা যেন কোনোমতেই থেমে না যায়। বাংলাদেশকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলতে চাই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে, সেভাবে যেন গড়ে তুলতে পারি সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমরা আলাপ-আলোচনা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০০টি নির্বাচনী আসনের প্রত্যেকটিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার দল সেরা প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে কিছু আসন দলের মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া হবে। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংদসীয় বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের ও রশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। এ ছাড়া কাজী জাফরুল্লাহ বিদেশে রয়েছেন বলে জানা গেছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী : এদিকে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান করা আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনে অংশ নেবে।

আওয়ামী যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বক্তৃতা করেন। এ সময় মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশিদ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দক্ষিণ এবং মইনুল হোসেন খান নিখিল ও ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অনেক মেগা প্রকল্প নিয়েছে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের অঙ্গীকার করেছে। যদি আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারি তাহলে কেউ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।

সর্বশেষ খবর