একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে পুনঃতফসিল ঘোষণার বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ইতিবাচক। নির্বাচনের তারিখ এক সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ সমর্থন করে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার শুধু নির্বাচন কমিশনের। এখানে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ না পেছালেও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসত, এটা আমরা জানতাম। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বড় ট্রাম্প হলো জনগণ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিলেই দলের এমপি হওয়া যায়- এমন ধারণা বড় একটি ভুল। কিছু কিছু পত্রিকায় এসেছে যে, আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়া মানেই বিজয়ী। এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা। যারা এমনটা মনে করে, তারা বড় মাপের ভুল করছে। মহাজোটের শরিক বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ইসিতে জোটের পক্ষে কোন ব্যানারে ভোট করব সে তালিকা দিয়েছি। জোটের নানা সমীকরণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি জোটে আসে তাহলে তাদের নিজস্ব প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয় নিয়েও কথা হচ্ছে। দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার মনোনয়ন বোর্ড বিচার-বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন দেবে। প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণে কয়েকটি সার্ভে করা হয়েছে। বিদেশি সংস্থাও সার্ভে করে তথ্য আপডেট করে দিয়েছে। ১৪ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন প্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হবে। কিছু কিছু প্রার্থীর ইন্টারভিউ দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সরাসরি নিবেন। নতুন তফসিলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে কোনো ধরনের হেরফের হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথানিয়মে কার্যক্রম চলবে। বিগত সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। কারণ আওয়ামী লীগের ভিতরে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র চর্চা করে বলেই প্রতি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। এটাই দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সুজিত নন্দী রায়, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।