শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
উৎসবের আমেজ দুই জোটে

আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতীকের অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতীকের অপেক্ষায়

নৌকা প্রতীক পেতে সারা দেশে ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। গড়ে এক আসনের বিপরীতে ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। নৌকা প্রত্যাশী এই নেতারা দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেছেন। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের নিজস্ব জরিপ, বিভিন্ন সংস্থা ও বিদেশি জরিপের ভিত্তিতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছেন দলীয় প্রধান। যে সব আসনে সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও জেনে গেছেন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন নৌকা প্রতীকের।  দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাজোটের প্রার্থীদের জন্য ৬০-৭০টি আসন ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। বাকিগুলো নিজেদের দখলে রাখবে। এর মধ্যে মূল টার্গেট ২০০ আসন। এই আসনগুলো নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে তারা। সে জন্য প্রথমেই ‘উইনএবল’ প্রার্থী চূড়ান্তকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য জানান, ৬-৭টি বিশেষ জরিপের রিপোর্ট দেখেই প্রায় সিংহভাগ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জরিপে যারা এগিয়ে রয়েছেন তাদেরই দেওয়া হবে নৌকা প্রতীক।  দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ নভেম্বর জানা যাবে কারা পাচ্ছেন নৌকা। ওইদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের একাধিক সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। সরেজমিন ধানমন্ডি, গুলশান, বনানীতে ঘুরে দেখা গেছে, নৌকার প্রতীক নিশ্চিত করতে দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের বাড়ি ও অফিসে ঘুরছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নেতাদের দোয়া নিয়ে আশীর্বাদের ছবি নিজের ফেসবুকে দিয়ে মনোনয়ন ‘নিশ্চিত’ প্রচার করছেন নিজ নিজ এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে অবস্থান করছেন। দলের প্রার্থী ঘোষণার পর প্রতীক নিয়েই তারা এলাকায় ফিরবেন বলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় সব প্রার্থীই গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারা হবেন সে তালিকা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিছু আসনে সমস্যা থাকায় সেগুলো নতুন করে বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসনভিত্তিক কয়েকটি জরিপ চালিয়েছেন। সেই জরিপের ভিত্তিতেই তিনি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছেন।’ তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এখন অপেক্ষা শুধু নৌকা প্রতীকের। গতকাল রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংসদীয় বোর্ডের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দেখেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। সে কারণে প্রার্থী ঘোষণায় কিছুটা দেরি হবে। 

সর্বশেষ খবর