বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি এ দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপার। এ সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। গতকাল বিকালে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আরও বলেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমরা যুক্তফ্রন্টকে বুঝতে চেয়েছি, তাদের আদর্শ ও সামগ্রিক বিষয়, তাদের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে। বিকাল ৩টার দিকে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বি. চৌধুরীর বাসভবন কার্যালয় ত্যাগ করেন। এর আগে দুপুর ১টার দিকে তিনি সেখানে যান। তখন বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান। সাক্ষাৎ ও বৈঠক শেষে বি. চৌধুরী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা চাই তাদের সঙ্গে এই সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকুক। বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, আমরা চাই ভারতের সঙ্গে এ সম্পর্কের আরও উন্নতি হোক। এসব কিছু নিয়েই আমাদের আলোচনা ছিল। এজন্য ভারতকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাহায্য প্রয়োজন রয়েছে। মেজর (অব.) মান্নান আরও বলেন, এখন যেহেতু নির্বাচনের সময় তাই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলেই আসে। তবে আমাদের মূল আলোচনা ছিল ভারত ও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে। বৈঠকে বি. চৌধুরী ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, বি. চৌধুরীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম, যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন তারা। এতে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। এটার ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখব। নতুন প্রজন্মের জন্য নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমীর রাজনীতির কথা আমরা বলেছি। বলেছি, আমরা অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। মাহী বি. চৌধুরী বলেন, বিকল্পধারা রাজনীতিতে একটি নিউ এলিমেন্ট। আদর্শিক, গণতান্ত্রিক অবস্থানে থেকে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে মহাজোটে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
