শিরোনাম
বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রতীক ধরে রাখতে ডামি প্রার্থী

প্রধান দুই দলে অর্ধশতাধিক আসনের চিত্র | বিকল্প প্রার্থী হিসেবে পরিবারের সদস্যরাও তুলেছেন নৌকা-ধানের শীষের মনোনয়ন বয়স্ক, মামলার সাজা, জনবিচ্ছিন্নতা, দুর্নামসহ নানা কারণে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি

প্রতীক ধরে রাখতে ডামি প্রার্থী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। একই সঙ্গে এ আসনে তার ছেলে আয়মান আকবর চৌধুরীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সাজেদা চৌধুরী শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে না পারলে আয়মান আকবর চৌধুরী ওই আসনে নৌকা প্রতীকে লড়তে চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ঢাকা-১৬ ও কুমিল্লা-৩ আসনে ধানের শীষে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ দুই আসনেই তার স্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিকও মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় এক মামলায় গতকাল ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কোনো কারণে প্রবীণ এই আইনজীবী ভোট করতে না পারলে ড. শাহিদা রফিক নির্বাচন করবেন। গতকাল তিনি বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। শুধু এ দুজনই নন, সারা দেশে অন্তত অর্ধশত আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা পরিবারের সদস্যসহ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রতীক ধরে রাখতে নিজেদের মধ্যেই ‘বিকল্প’ কিংবা ‘ডামি’ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো কারণেই প্রতীক হাতছাড়া করতে চান না তারা। মামলায় সাজা, বার্ধক্যজনিত রোগ, বিদেশে অবস্থান, জনবিচ্ছিন্নতা, দুর্নীতি-দুর্নামসহ নানা কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা এ কৌশল নিয়েছেন। কোথাও মেয়ে, কোথাও ছেলে, কোথাও স্ত্রী আবার কোথাও ভাইকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলানো হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘পারিবারিক মনোনয়নে প্রভাব বিস্তার— এটা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। এতে অনেক যোগ্য ও দক্ষ লোক সংসদে আসতে পারে না। রাজনীতিতেও তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।’

আওয়ামী লীগ : একটি খুনের মামলায় জেলে রয়েছেন টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান এমপি আমানুর রহমান খান রানা। সে কারণে তাকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না ধরেই নিয়েছিল খান পরিবার। সে কারণে এ আসনে নৌকা পেতে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন রানার পিতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আতাউর রহমান খান। দলীয় মনোনয়নের খসড়া তালিকায় তার নাম আছে। একইভাবে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত-সমালোচিত কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের এমপি আবদুর রহমান বদি। সে কারণে দলের মনোনয়ন ঝুঁকিতে ছিলেন তিনি। আসনটি যেন হাতছাড়া না হয় সে জন্য তার স্ত্রী শাহীন চৌধুরীও তুলেছিলেন দলের মনোনয়ন ফরম। বদির পরিবর্তে তার স্ত্রী শাহীন চৌধুরীকেই দলের মনোনয়নের খসড়া তালিকায় রাখা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রানার আসনে বাবা ও বদির আসনে স্ত্রীই ধরছেন নৌকার হাল। নৌকা প্রতীক ধরে রাখতে এ রকম কমপক্ষে ৩০ জন এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবার দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এদের কাউকে কাউকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। আবার খসড়া তালিকায় যেসব এমপি-মন্ত্রীর স্বজনের নাম নেই তারা জোর লবিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দীর্ঘদিন ধরে নিজেই ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তবে এবারও সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য তিনি দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। একই আসনে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার ভাই ড. এ কে আবদুল মোমেন। নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) সংসদীয় আসনে একই পরিবারের তিনজন আওয়ামী লীগেরই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি প্রয়াত মমতাজ উদ্দীনের ছোট ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ উদ্দীনের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেফালী মমতাজ এবং মমতাজের ছেলে শামীম আহম্মেদ সাগর। কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে একই পরিবারের তিন ভাইবোন দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তাদের একজন বর্তমান এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। তার বড় ভাই রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল ও ছোট বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরী। অবশ্য এ আসনে ভাইবোনদের সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন আছে। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ থাকায় এ আসনে তার ছেলে মশিউজ্জামান রোমেল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কুমিল্লা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খান। একই আসন থেকে তার দুই সন্তান মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরানও নৌকা পেতে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। সীমা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন গতবার স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হাজী মোহাম্মদ সেলিম। একই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তার ছেলে সোলাইমান সেলিম। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য। এবার তিনি গুরুতর অসুস্থ। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন এই নেতার তিনজন স্বজন একই আসন থেকে ফরম কিনেছেন। এরা হলেন দুই আপন ভাই সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটো। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম-৮ ও ৯ আসন থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনেছেন। এ দুই আসন থেকেই ফরম তুলেছেন তার ছেলে মুজিবুর রহমান। নরসিংদী-৫ আসন থেকে সাবেক মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর পাশাপাশি নৌকা প্রতীক পেতে মনোনয়নের ফরম তুলেছেন তার ছেলে রাজীব আহমেদ পার্থ। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ছয়বারের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দবিরুল এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কিনেছেন। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন এমপিপুত্র মাজহারুল ইসলাম সুজনও।

চাঁদপুর-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে অবিভক্ত ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তার ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দলের প্রাথমিক তালিকায় পিতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। গাজীপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন বর্তমান এমপি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী। বয়সের কারণে তিনি মনোনয়নবঞ্চিত হলে পিতার বিকল্প হিসেবে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কিনেছেন তার ছেলে জামিল আহসান দুর্জয়। নাটোর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। একই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তার মেয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি।

বিএনপি : পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবার নির্বাচন করছেন না। তার ছেলে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের হাতে তিনি ধানের শীষ তুলে দিচ্ছেন। টাঙ্গাইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কিনেছেন ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। এ আসনে ফরম তুলেছেন তার দুই ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শামসুল আলম তোফা। নাটোর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুলে বোর্ডে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। একইসঙ্গে এ আসনে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবিও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কোনো কারণে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী ওই আসনে লড়বেন। সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার স্ত্রী রোমানা ইকবাল মাহমুদও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু অনুপ্রবেশ মামলায় তিনি এখনো ভারতে অবস্থান করছেন। যদিও তিনি ওই মামলায় খালাসের রায় পেয়েছেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় তাকে আরও কিছুদিন মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে থাকতে হবে। এ কারণে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মানিকগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষ পেতে চান বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু ও খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু। দুজনই দলের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র কিনেছেন। ঢাকা-১ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। তার জামাতা বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম ঢাকা-৮ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যাশা করছেন। নেত্রকোনা-৪ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তার স্ত্রী তাহমিনা জামান ও ছেলে লাবিব ইবনে জামান। চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন চান সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবীও এবার দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ময়মনসিংহ-৫ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। স্মৃতিভ্রমের কারণে মোশাররফ হোসেনের বদলে জাকির হোসেন বাবলু নির্বাচনে লড়তে পারেন বলে জানা গেছে। নোয়াখালী-৩ আসনে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। ওই আসনে তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কোনো কারণে বরকতউল্লা বুলু নির্বাচন না করলে শামীমা বরকত লাকী নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেও চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে মনোনয়ন চান। সালাউদ্দিন কাদেও চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদেও চৌধুরী ও অন্যজন ছেলে হুম্মাম কাদেও চৌধুরী। সিলেট-২ আসনে বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর আসনে দলের জন্য মনোনয়ন চান তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। তার ছেলে আবরার ইলিয়াসও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ফরিদপুর-২ আসন থেকে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনোনয়ন চান। তার মেয়ে অপর্ণা রায় ও পুত্রবধূ নিপুণ রায়ও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী। সালাহউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে তানভীর আহম্মেদ রবিন ঢাকা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চান। ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। ঢাকা-৮ ও ৯ আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলের মনোনয়ন চান। তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ঢাকা-৯ আসন থেকে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা-১০ আসনে মহানগরী উত্তর বিএনপি সভাপতি এম এ কাইয়ুমের পাশাপাশি তার সহধর্মিণী শামীম আরা বেগম দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

সর্বশেষ খবর