শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম টেস্ট

তবুও দিনটা বাংলাদেশের

রাশেদুর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে

তবুও দিনটা বাংলাদেশের

মুমিনুল হক ১২০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দ্বিতীয়বার রিভিউ নিতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন তাইজুল! বোলার সেই বিশু। আম্পায়ার সেই আলিম দার। প্রথমবার শূন্য রানে তাইজুলকে বিশুর বলে লেগ বিফোর উইকেট (এলবিডব্লিউ) দিলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। ফলটা তার পক্ষেই আসে। পায়ের আগে বল লেগেছিল ব্যাটের কানায়। দ্বিতীয়বার লেগ বিফোর উইকেটের কারণ দেখিয়ে আউট দিলে আলিম দারকে আবারও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তাইজুল (১৩ রান)। এবার অবশ্য কিছুটা দ্বিধা নিয়ে। তবে রিভিউতে দেখা যায়, বাঁক নেওয়া বলটা লেগ স্ট্যাম্প ছাড়িয়ে যায়। তাইজুলের জয় হয় আবারও। দিন শেষে তাইজুলের নামের পাশে ৫৭ বলে ৩২ রান, নট আউট।

পুরোটা দিনই বাংলাদেশের হতে পারত। প্রথম সেশনে ২৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান। দ্বিতীয় সেশনে আরও ভালো করেন মুমিনুলরা। ৩১.১ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান। কিন্তু তৃতীয় সেশন খেলতে এসেই যে কী হলো! ২২২/৪ থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৫৯/৮ হয়ে যায়। দিন শেষে ৮৮ ওভারে বাংলাদেশ ৩১৫/৮। মুশফিক (৪) আর মাহমুদুল্লাহ (৩) উইকেট বিলিয়ে দেন ক্যারিবীয় বোলার বুঝে ওঠার আগেই। সেট হতে হতেও বিদায় নেন সাকিব (৩৪) আর মিথুন (২০)। ইমরুলও (৪৪) তো বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না! আর সৌম্য তো শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন দিনের প্রথম ওভারে। কিন্তু মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে (১২০) কী দারুণ সূচনাই না করেছিল বাংলাদেশ! পাশাপাশি ভাগ্যের সহায়তাও তো ছিল। দুবার ইমরুল আউট হতে হতেও বেঁচে যান। একবার সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে তার ক্যাচ ফেলেন চেইস। ইমরুল তখন ৩ রানের ভূমিষ্ঠ বালক মাত্র। ১৩ রানে তিনি আবারও ক্যাচ দিয়েছিলেন ডিপ স্কয়ার লেগে। ফিল্ডার গ্যাব্রিয়েল তা লুফে নিয়েছিলেন সুন্দরভাবেই। ইমরুলও বাড়ির পথ ধরছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার ফিরিয়ে আনেন তাকে। ওভারস্টেপের কারণে নো বল। দুই দুইবার ভাগ্যের সহায়তা পেয়েও ইনিংসটাকে ৪৪’র বেশি লম্বা করতে পারলেন না ইমরুল। মুমিনুল তো দিন শেষে বলে গেলেন, ‘আমি থাকলে রান ৪০০’ও হতে পারত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর