শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি এখন ফখরুলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভিতরে জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। সব নেতা এখন মির্জা ফখরুলের কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণের) বাইরে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টও এখন ঐক্যবদ্ধ নয়। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতের ভিতরও মুক্তিযোদ্ধা আছে— বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দৃষ্টিতে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক নন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা তাদের মনগড়া মুক্তিযোদ্ধা। সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজেদের কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিএনপি নেতারা। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বলেন, আমি যত দূর জানি, বিএনপির মধ্যে দুজন আছেন, যারা কাঙ্ক্ষিত আসন থেকে মনোনয়ন পাননি বলে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আর মির্জা আব্বাস সময়মতো মনোনয়ন জমা দেননি। নির্বাচন কমিশন তাই মনোনয়ন জমা নেয়নি। বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করলে হবে না। 

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হয়রানি করা হচ্ছে— এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বলুন কোথায় কোথায় বিএনপির প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে? তাহলে নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা নেবে। অন্ধকারে ঢিল ছোড়া বিএনপির পুরনো অভ্যাস।

১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা জাতীয় পার্টিকে বলেছি প্রয়োজনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে দিতে। কিন্তু যোগ্য ও জেতার মতো প্রার্থী হতে হবে। আমরা যাদের যোগ্য এবং জয়ী হওয়ার মতো মনে করেছি, তাদের মনোনয়ন দিয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আমরা একা একা নির্বাচন করতে চাই না। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনে না এসে বলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেছে, তাহলে হবে না। অবশ্য নির্বাচনে না এলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, সেটা তারাও জানে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল। জামায়াত-বিএনপি মিলে একাকার। তারা একসঙ্গে রাজনীতি করছে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মনে করেছে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে, তাই তারা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর