শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধানের শীষ তুমি কার

কেউ জানেন না কে পাবেন প্রতীক, মান-অভিমানের শেষ নেই, কর্মীরা শুধুই অপেক্ষায়

মাহমুদ আজহার

ধানের শীষ তুমি কার

কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী, আবদুল গফুর ভুঁইয়া ও মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। এর মধ্যে মনিরুল হক চৌধুরী ও মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া এখনো কারাগারে। ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে নাঙ্গলকোটের নেতা-কর্মীরাও তিন ধারায় বিভক্ত। একই অবস্থা কুমিল্লা-৬ আসনেও। সেখানে বিএনপির পক্ষে আমিনুর রশীদ ইয়াসিন ছাড়াও কারাবন্দী মনিরুল হক চৌধুরী ও মোস্তাক মিয়া মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীক কার— তা কেউই বলতে পারছেন না। শুধু এ দুটি আসনেই নয়, হাতে গোনা কয়েকটি বাদে ৩০০ আসনেই বিএনপির একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও তিন বা চারজনও প্রার্থী। ধানের শীষ প্রতীক কে পাচ্ছেন— তা এখনো স্পষ্ট নয়। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিএনপির কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, কৌশলগত কারণেই বিএনপি একাধিক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত হওয়ার পর বিএনপি ধানের শীষের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে। কেউ বাদ পড়ছেন কিনা তা দেখেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে মান-অভিমানের শেষ নেই। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা প্রতীকের অপেক্ষায় রয়েছেন।

জানা যায়, নিজ নিজ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রবিবার নির্বাচন কমিশনের বাছাই পর্যন্ত বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার এলাকায় থাকবেন। এরপর শুরু হবে ঢাকামুখী দৌড়ঝাঁপ। ধানের শীষ প্রতীক পেতে ফোনে এরই মধ্যে ঢাকা ও লন্ডনে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন প্রার্থীরা। মনোনয়নের চিঠি পেলেও তাদের মধ্যে এখন প্রতীকের টেনশন কাজ করছে। এ নিয়ে একাধিক প্রার্থীও রয়েছেন চরম অস্বস্তিতে। আবার যারা এককভাবে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন তারাও টেনশনে রয়েছেন। কোনো কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় কিনা, তা নিয়েও সংশয় কাজ করছে তাদের মধ্যে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা কৌশলগত কারণেই একাধিক প্রার্থী দিয়েছি। প্রায় সব আসনেই বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। সরকারের রোষানলে পড়ে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারলে সেখানে বিকল্প প্রার্থীই ভোট করবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ধানের শীষের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।’

চট্টগ্রাম-৫ আসনে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন। তাকে বিএনপির হাইকমান্ড সবুজ সংকেতও দিয়েছে। এরই মধ্যে দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। ওই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। এ ছাড়া ২০-দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তের পক্ষ থেকে মাওলানা নাছির উদ্দিন ও ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে মাওলানা শাহাবুদ্দিন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এখানে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমেরই। তার পরও নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। এ ছাড়া চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা মঞ্জুর কাদের রকিবুল করীম খান পাপ্পুও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কে, তা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি এখনো কাটেনি। কুমিল্লা-৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিকের পাশাপাশি ওই আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতা শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই কে এম মুজিবুল হক। কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের পাশাপাশি ভোটযুুদ্ধে মাঠে রয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস। কুমিল্লা-৯ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিমের পাশাপাশি সেখানে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন সাবেক সচিব এস এম সোলায়মান চৌধুরী ও মফিজুর রহমান। কুমিল্লা-৪ আসনে মনজুরুল আহসান মুন্সির পাশাপাশি আবদুল আউয়াল খানও ফরম জমা দিয়েছেন। দুজনই ধানের শীষ প্রতীকের দাবিদার। কুমিল্লা-১১ আসনে জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের পাশাপাশি বিএনপি নেতা কাজী নাসিমুল হকও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের কোনো কারণে ছিটকে পড়লে সেখানে লড়তে চান বিএনপি নেতা কাজী নাসিমুল হক।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ওই আসনে ২০০৮ সালে এমপি হয়েছিলেন বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি এবারও দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুও ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যাশী। এ নিয়ে নেতা-কর্মীরাও কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনিই দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে তাকে ছাড়াও ওই আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন বিএনপি নেতা আলী আজগর ও সালমান ওমর রুবেল। ময়মনসিংহ-২ বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দেন শাহ শহীদ সারোয়ার ও অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আকন্দ। এ ছাড়া ওই আসনে গণফোরামের পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম। ময়মনসিংহ-৩ আসনে নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপি নেতা আবু আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ। তবে আরও দুজন ধানের শীষ প্রত্যাশী। তারা হলেন ডা. আবদুস সেলিম ও প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। ময়মনসিংহ-৪ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি কোনো কারণে নির্বাচন করতে না পারলে ওই আসনে লড়তে পারেন সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু। এ ছাড়া ওই আসনে বিএনপি নেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ও কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশী। ময়মনসিংহ-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই চূড়ান্ত ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। তবে ওই আসনে আমিন সরকার ও জয়নুল আবেদীন নামে দুই নেতাও ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ-৬ আসনে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও আখতারুল আলম ফারুক খসরু মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-৮ আসনে শাহ নুরুল কবীর শাহীন ছাড়াও লুত্ফুল্লাহেল মাজেদ বাবুও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ-৯ আসনে বিএনপির প্রবীণ নেতা খুররম খান চৌধুরী লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ আসনে বিএনপির আরেক নেতা ইয়াসের খান চৌধুরীও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ-১০ আসনে বিএনপি নেতা এ বি সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আকতারুজ্জামান বাচ্চুও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তবে এ আসনে লড়তে চান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা সৈয়দ মনজুর মোর্শেদ। ময়মনসিংহ-১১ আসনেও একই অবস্থা। সেখানে বিএনপির ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতীক চাইছেন অ্যডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ওই আসনে বিএনপির আরেক নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের পাশাপাশি যুবনেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুও ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশী। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে চলছে চাচা-ভাতিজার লড়াই। ওই আসনে বিএনপির পক্ষে ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমনের পাশাপাশি চাচা সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরও ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই আসনে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদও ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশী। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনেও বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাশাপাশি খন্দকার আবু জাফর মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও। সেখানে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহ আলমের পাশাপাশি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমমি আবুল কালামের পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন বিএনপির আরেক নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন রেজাউল করিম খান চুন্নু, খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি) সোহেল ও মো. শরীফুল ইসলাম শরীফ। কার হাতে ধানের শীষ তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি নেতা জালাল মোহাম্মদ গাউসের পাশাপাশি ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমনও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের পাশাপাশি সরকার শহীদও ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশী। টাঙ্গাইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কারাবন্দী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পাশাপাশি ওই আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপি সভাপতি টুকুর ভাই শামছুল আলম তোফা। কোনো কারণে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নির্বাচন না করতে পারলে শামসুল আলম তোফাই নির্বাচনে লড়বেন। যশোর-৬ আসনে বিএনপি নেতা অমলেন্দু দাস অপুর পাশাপাশি আরও দুজন ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন আবুল হোসেন আজাদ ও আবদুস সামাদ বিশ্বাস। নাটোর-১ আসনে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরীন। ঝালকাঠি-২ রফিকুল ইসলাম জামালের পাশাপাশি ইসরাত জাহান ইলেন ভুট্টো ও জেবা খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রবিবার প্রার্থীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকার নির্দেশনা : আগামীকাল রবিবার দল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রস্তাবক-সমর্থকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকতে অনুরোধ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী রবিবার সারা দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ওইদিন বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রার্থীসহ প্রস্তাবক-সমর্থকদের যথাসময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর