রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

ড. এ টি এম শামসুল হুদা

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী সুবাতাস তৈরি করেছে সব দলের অংশগ্রহণের আভাস। কিন্তু গ্রেফতার, মামলা, কালো টাকার ব্যবহার ও পেশিশক্তির প্রদর্শন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আস্থার অভাব তৈরি করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদ বিতর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি অংশ নেয়। বিতর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। এ টি এম শামসুল হুদা আরও বলেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে নির্বাচন কমিশনকে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। হঠাৎ করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইভিএম কেনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীসহ কেউই কিছু জানে না। ইভিএম ক্রয় প্রক্রিয়া কীভাবে করা হয়েছে— এ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের উচিত জনগণকে অবহিত করা।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বয়কটের কালচার ভয়াবহ হয়। বয়কট করা মানে অন্যকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেওয়া। নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোটার যাতে ভোট দিতে আসে, তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এদেশের আইন অনেক দেশের আইনের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় কিনা সেদিকে দেখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করে এর বিচার পেল না না তা তো হতে পারে না। তাই আমরা নির্বাচনের বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে ‘স্পেশাল ইলেকশন ট্রাইব্যুনাল’ চেয়েছিলাম। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজ নিজ ভোট প্রদান করতে পারেন— এটাই সবার প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর