সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

আদালতের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার দণ্ড স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর চেম্বার কোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ বিষয়ে উভয়পক্ষে শুনানি করে চেম্বার কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান রাখে। আদালত আদেশে বলে, ‘স্টে টু কন্টিনিউ’। এর আগে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ছয় বছরের সাজা ও দণ্ড গত বৃহস্পতিবার স্থগিত করেছিল হাই কোর্টের একটি একক বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনে চেম্বার কোর্ট শনিবার তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আদেশ দেয়। সে অনুযায়ী গতকাল শুনানি হয়।

দুদকের  আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, সাবিরা সুলতানার দণ্ড স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে চেম্বার কোর্টের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রখেছে। সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবিরার অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না। ফলে দুই বছরের বেশি দণ্ডিতদের কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট এ বি এম বায়েজিদ। সাবিরার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, এম আমিনুল ইসলাম। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আদেশের ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আর থাকল না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, শুধু সাবিরা সুলতানাই নন, এটা সংবিধানের বিধান। দুই বছরের বেশি দণ্ডিত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গত ১২ জুলাই সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে ছয় বছরের সাজা দেয় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবিরা ওই সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আবেদন করলে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার ২৯ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে। এর আগে হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেছিল, দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

 

সর্বশেষ খবর