মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাতীয় পার্টিতে হঠাৎ মহাসচিব হলেন রাঙ্গা হাওলাদার বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টিতে হঠাৎ মহাসচিব হলেন রাঙ্গা হাওলাদার বাদ

জাতীয় পার্টিতে হঠাৎ করেই মহাসচিব পদে পরিবর্তন এনেছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দিয়ে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাকে নতুন মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। গতকাল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নিয়োগের কথা জানানো হয়।

দায়িত্ব পেয়েই বনানী দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গা বলেছেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের’ যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করা হবে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এরশাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা মোটামুটি ভালো। তিনি দু-একদিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন। সম্প্রতি পার্টি কার্যালয়ে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন। মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে সত্যতা, অসত্যতা রয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামে রবিবার রাতে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষে বেশ কজন নেতা অভিযোগ করেন, সিনিয়র কয়েকজন নেতা টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র নিতে এসে যারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, যারা টাকা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, তারা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব। হাওলাদারকে কেন মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও রাঙ্গা বলেন, আপনারা জানেন, ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তার মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়নি। তিনি বলেন, মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির জন্য ৫২টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। দু-একদিনের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। রাঙ্গা বলেন, সোমবার সকালে আমাকে ডেকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সবার সহযোগিতা চাই, আমি সাবেক মহাসচিবের সহযোগিতা চাই, দল থেকে যারা বিভিন্ন সময় চলে গেছেন তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানাই। স্মৃতিচারণ করে রাঙ্গা বলেন, আমাকে তিনবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরশাদ নেতা-কর্মীদের সন্তানের মতো স্নেহ করেন। তিনি বলেন, গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মজিবুল হক চুন্নুও ছিলেন। দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে আসন ভাগাভাগি। জাপা মহাসচিব বলেন, গতবার নির্বাচনে আমাদের কিছু ভুলের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়েও পারিনি। এবার যেন ভুল না করি, সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কোথায় থেকে যেন একটি অশুভ শক্তি হায়েনার মতো দলে ঢুকে পড়ে। জাতীয় পার্টি যখনই ক্ষমতায় যেতে চায় তখনই এমন পরিবেশ তৈরি হয়। রাঙ্গাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাফিজ উদ্দিন, সুনীল শুভরায়, আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

সর্বশেষ খবর