মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মওদুদ সাহেব নির্বাচন না করলে কষ্ট পাব : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। নির্বাচন কমিশনের আইন আছে মনোনয়নপত্র বাতিল করার। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না। যদি তাই হতো, তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইব? গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের জয়ের পথ প্রশস্ত করতেই নামিদামি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ সাহেব। খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানানো হয়েছিল যে তার মনোনয়নপত্রে কিছু কিছু ত্রুটি আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাব। তা না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন সেখানে হবে না। আমার মধ্যে কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে না। এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল। এক চাকা ক্ষমতাসীন দল এবং আরেক চাকা বিরোধী দল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। ফাঁকা মাঠে গোল দিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের ইচ্ছা কখনই পোষণ করেন না। ফাঁকা বুলি দিতে চাই না, আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হুমকির মধ্যে বাস্তবতা কিছু দেখতে পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে, দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি। ‘বেছে বেছে’ বিএনপির জনপ্রিয় প্রতিনিধিদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে—দলটির নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়টি তো আদালত আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদণ্ডে দণ্ডিত, তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ দ্যাট। আমাদেরও তো অনেকে বাদ গেছে, সেখানে আমাদের কী করার আছে? মনোনয়নপত্র যেসব কারণে বাতিল হয়, সেগুলো তো নির্বাচন কমিশন সবসময় আমলে নেয়। নতুন করে তো কোনো আইন করা হয়নি। হাজী সেলিমের মনোনয়ন কেন বাদ হলো না এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজী সেলিমের বিষয়ে যদি বলেন, তাহলে আমরা সেখানে দুজন কেন প্রার্থী দিলাম? আমাদের সন্দেহ ছিল হাজী সেলিম বাদ যেতে পারে। সেজন্য আমরা আমাদের মহানগর দক্ষিণের সভাপতির নাম দুই নম্বরে রেখেছিলাম। যেসব জায়গায় আমাদের সংশয় ছিল যে প্রার্থী নির্বাচনী আইনে টিকবে কিনা, সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু দুজন প্রার্থী দিয়েছি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম হয়তো হাজী সেলিম টিকবে না। কিন্তু তিনি আইনে টিকে গেছেন, এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিষ্কার হতে থাকে কারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এটা আপনারাও বুঝতে পারেন, আমার বলার দরকার নেই। কোনো ধরনের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না। কারোরই অহংকার করা উচিত নয়। যদিও প্রতিপক্ষের সাজে না এমন এমন অহংকারবোধ তারা করছে। এই অহংকার কিন্তু পতনের কারণ। আজকে কাদের সিদ্দিকী নিজের মনোনয়ন বাতিলের পর হতাশায় কত কথাই না বলছেন। আমরা তাকে কোনো কটু কথা বলব না। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর