শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

তিন বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

গণতন্ত্র ও সুশাসন বিকাশে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক ধারাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগ— এই তিনটি অঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক ও আইনজীবীরা হলেন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আইনের সেবা করে তারা দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে অবদান রাখেন। দেশে আইনের শাসন  ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাদের অনন্য ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত পেশা। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার সর্বোচ্চ মাপকাটি হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনজীবীরা আইনি সেবার সঙ্গে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানব উন্নয়নমূলক কাজসহ দরিদ্র, সহায়-সম্বলহীন জনগণকে আইনি সেবা প্রদানে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বলেন, গণতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই বিভাগের যারা আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন, তারা যদি একটু রিসার্চ করে আদালতে আইনের ব্যাখ্যা দেন তাহলে রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, গণতন্ত্রে আইনের সঙ্গে জড়িত মানুষরা যে অবদান রাখতে পারেন, তা আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। সম্মেলনের শেষ পর্বে বাংলাদেশ আইন সমিতির কার্যকর পরিষদের ২০১৯ সালের কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান সরদার। এ বছর সভাপতি পদে একেএম আফজালুল মনির ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন নির্বাচিত হন। সম্মেলনে আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, বাংলাদেশ আইন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, প্রধান বিচারপতির সহধর্মিণী আইন বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্রী সামিনা খালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর