অসাধারণ জয়ে এগিয়ে গেছে সিরিজে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি গড়াবে আজ। ভেন্যু পরিচিত মিরপুর। প্রতিপক্ষ একটি নয়, তিনটি। তিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, রাতের আকাশ ভেদ করে নামা কুয়াশা এবং বৈচিত্র্যময় চরিত্রের উইকেট। শীতের আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠা এই তিন প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলেই সিলেটের ম্যাচ হাতে রেখে জয় করে নিবে সিরিজ। সেই টার্গেটে আজ ক্রিকেট লড়াইয়ে নামছে মাশরাফি বাহিনী। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে বোধহয় মিরপুরে এটাই শেষ ওয়ানডে মাশরাফির। ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দেওয়া টাইগার অধিনায়কের আগামী ৫ মাসে আর কোনো খেলা নেই মিরপুরে। আজ সিরিজ নিশ্চিত করলেই এটা হবে চলতি বছরে বাংলাদেশের তৃতীয় সিরিজ জয়। এর আগে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১, জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে জয় পাওয়া প্রথম ওয়ানডেটি বিশেষ কিছু ছিল মাশরাফির। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার বিরল কৃতিত্ব দেখান টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলছে ১৯৮৬ সাল থেকে। মাশরাফি খেলছেন ২০০১ থেকে। এরপর ইনজ্যুরির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ১৭ বছর ধরে খেলে চলেছেন। এই পথ চলায় দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। কিন্তু থেমে যাননি অদম্য ক্রিকেটার মাশরাফি। ফিরেছেন এবং দাপটের সঙ্গে খেলছেন। থেমে থেমে পথ চলায় প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে খেলে ফেলেছেন ২০০ ওয়ানডে। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আজ নাম লেখাতে যাচ্ছেন কাজী হাবিবুল বাশার সুমনের পাশে। টস করতে নেমেই ছুঁয়ে ফেলবেন বাশারকে। ৬৯টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে এতদিন বাশার ছিলেন সবার উপরে। আজ তার কৃতিত্বে ভাগ বসাবেন মাশরাফি। সর্বাধিক ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্বে ভাগ বসালেও জয়ের পরিসংখ্যানে অনেক আগেই পেছনে ফেলেছেন অগ্রজকে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত টাইগার অধিনায়ক হিসেবে ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে বাশার দেশকে উপহার দিয়েছেন ২৯ জয়। ২০০৯ থেকে আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত মাশরাফি ৬৮ ম্যাচে দেশকে উপহার দিয়েছেন ৩৯ জয়। যার ১২টিই চলতি বছরে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৫০ ম্যাচে জয় ২৩টি এবং মুশফিকুর রহিম ৩৭ ম্যাচে জিতেছেন ১১টিতে। ইতিহাস গড়া ম্যাচে মাশরাফির বোলিং পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। ১০ ওভারের স্পেলে ৩০ রানের খরচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। আলোচনায় উঠে আসেন চার ওপেনার নিয়ে একাদশ সাজিয়ে। আজ চার ওপেনারের মধ্যে থেকে সাজঘরে বসে থাকতে পারেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের যে কোনো একজন। ফিরতে পারেন মোহাম্মদ মিথুন।