রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দক্ষিণ এশিয়ার বিস্ময় বাংলাদেশ

আর্থ-সামাজিক বেশির ভাগ সূচকে এগিয়ে

রুকনুজ্জামান অঞ্জন ও জয়শ্রী ভাদুড়ী

বৈষম্য আর নিপীড়নের আগুনে পুড়তে থাকা বাংলার মানুষ যখন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম দিল, তখন বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জন্ম নেওয়া নবীনতম এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে যুদ্ধ আর ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন! দারিদ্র্য ও অপুষ্টির ক্ষত নিয়ে ধুঁকতে থাকা মানুষের স্বপ্ন আরও ফিকে হয়ে যায় যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এই রাষ্ট্রটিকে অভিহিত করেন ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’ হিসেবে। সদ্য স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রথম যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে হতাশার কথাই ছিল বেশি। বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ‘সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ একটি নাজুক ও জটিল উন্নয়ন সমস্যার নাম। নরওয়ের অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফ্যালান্ড এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে আর পারকিনশন— বাংলাদেশ : দ্য টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট নামের একটি গবেষণামূলক বইয়ে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে যদি এই দেশটি উন্নতি করতে পারে, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় পৃথিবীর যে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারবে।’

বিশেষজ্ঞদের এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশ এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যাকে বিশ্ব এখন ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন বিশ্বে উদাহরণ। অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদের বিভিন্ন সূচকে গত চার দশকে বাংলাদেশ যে কেবল পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে তা নয় অনেক ক্ষেত্রে ভারত ও উন্নত বিশ্বকেও টেক্কা দিচ্ছে। আর্থ-সামাজিক বেশিরভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। সবাই বলছে, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার বিস্ময়!

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ার পথটি কিন্তু মসৃণ ছিল না। বরং বলা যায়, বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতা বারবার এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছে। দেশের এই অগ্রগতিকে রুখে দেওয়ার পেছনে সময় সময় কার্যকর হয়ে উঠেছে—উঠছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও কূটচাল। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মতো নৃশংস ঘটনাটির পেছনেও ছিল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুখে দেওয়ার চক্রান্ত। কিন্তু আজীবন সংগ্রামী এই ব-দ্বীপের মানুষ থেমে যায়নি। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে গিয়েছে নতুন উচ্চতায় দেশকে পৌঁছাবে বলে। এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দেশের কৃষক, প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি, বেসরকারি খাতের শিল্পোদ্যোক্তা ও নানান পেশার পেশাজীবী মানুষ।

দীর্ঘ সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা ছিল অবকাঠামো সমস্যাও। গত এক দশকে ধীরে ধীরে কাটতে থাকে সেই সমস্যা। নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠছে। গ্যাস ও জ্বালানি সমস্যা মেটাতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে এলএনজি প্লান্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনে সারা দেশে একশটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এখন বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বেষ্টিত এই ভূখণ্ড। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন স্টিল অ্যান্ড সুমিতমো মেটাল, ডেনিমসহ বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো এই শিল্পনগরীতে বিনিয়োগ করতে চাইছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এসেছে বিশ্বের শীর্ষ মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের হোন্ডা মোটর করপোরেশন। পাশাপাশি চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ প্রস্তাব আসছে। বেজার হিসাব অনুযায়ী, সরকারি তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার সমান। এসব বিনিয়োগের বেশির ভাগই বিদেশি।

৭০ দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা ছিল কৃষি খাত। সেই কৃষিকে পেছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে আসছে দেশের শিল্প খাত। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে মাত্র দুটো কাগজ কল আর একটি সিমেন্ট কারখানা ছিল। বর্তমানে ৯০টি কাগজকল ও ৫০টির বেশি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে দেশে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এসব কারখানার কাগজ ও সিমেন্ট এখন দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সিমেন্টে এখন নির্মিত হচ্ছে বৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় বড় স্থাপনা।

তৈরি পোশাক কারখানার দিক দিয়ে বিশ্বে এখন শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সাড়ে ৬০০ কারখানা পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার তালিকায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) তালিকায় লিড সনদ পাওয়া সেরা গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে।

মাথাপিছু আয়ে এরই মধ্যে পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সাফল্য দেখাচ্ছে যেসব দেশ, বাংলাদেশের স্থান সে তালিকার ওপরের দিকে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিক থেকে ভারত বাদে অন্য সব দেশ বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। পাকিস্তান আমলে সামরিক বাহিনীতে বাঙালি সৈন্যদের সংখ্যা ছিল ১০ শতাংশের সামান্য বেশি। বলা হতো বাঙালিরা অসামরিক জাতি। যুদ্ধবিদ্যায় তারা অনভ্যস্ত-অদক্ষ। অথচ স্বাধীনতার পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনা সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের ভরসার স্থল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর ‘ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট : বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইকোনমি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মানুষ মোবাইল একক বা ইউনিক ব্যবহারকারী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে একক মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা গড়ে ৫০ শতাংশ। আর ভারতে একক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ওই দেশটির জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে একক মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় থেকে বেশি।

২০১৭ সালেই স্যানিটেশনে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ খোলা জায়গায় পায়খানার হার শূন্যে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশ এই অবস্থানের ধারে কাছেও নেই। ভারতে এখনো প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ স্যানিটেশন সুবিধাবঞ্চিত; পাকিস্তানে এর হার ৯০ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও জ্যঁ দ্রজ তাদের বইয়ে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৬৯ বছর হলেও ভারতীয়দের গড় আয়ু ৬৫ বছর। শিশুমৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুর গড় ৩৭; আর ভারতে সেই সংখ্যা ৪৭। বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচির কারণে জন্মহারও কমিয়ে আনতে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। এ সূচকে বাংলাদেশের জন্মহার ২ দশমিক ২। ভারতের ক্ষেত্রে তা ২ দশমিক ৬। বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যবহার করে, অথচ ১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় আছে। বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ নারী শিক্ষার সুযোগ পায়। ভারতে সেই সংখ্যা ৭৪ শতাংশ। শিশুদের সংক্রামক ব্যাধি থেকে রক্ষায় ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও সাফল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশের ৯৬ শতাংশ শিশু সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসার আওতায় এলেও ভারতের মাত্র ৭২ শতাংশ শিশু এ সেবা পাচ্ছে।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বের অনেক দেশকেই পেছনে ফেলেছে। বিশ্বের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ যেখানে ৪৯ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর ৫০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর ৫২ শতাংশই ছাত্রী। শিক্ষা খাতে সরকারের উপবৃত্তি স্কুল ফিডিংসহ নানা ধরনের প্রণোদনামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রাথমিক স্কুলে মোট ভর্তির হার ৯১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, নারীর অগ্রগতির নানা সূচকে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত বৈশ্বিক লিঙ্গ বিভাজন সূচক-২০১৭ তে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭তম। এই তালিকায় মালদ্বীপ ১০৬, ভারত ১০৮, শ্রীলঙ্কা ১০৯, নেপাল ১১১, ভুটান ১২৪ ও পাকিস্তান রয়েছে ১৪৩তম অবস্থানে।

কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী পরিবেশে সহনীয় ফসলের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ শীর্ষে। খাদ্যশস্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম জমিতে অনেক বেশি ফসল ফলানোর পারদর্শিতা দেখিয়েছেন বাংলার কৃষকেরা। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচ গুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে দশ গুণ। খাদ্যশস্যে প্রতি হেক্টরে ১০ দশমিক ৩৪ টন উৎপাদন করে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের পরে রয়েছে আর্জেন্টিনা, চীন ও ব্রাজিল। সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় আর চাল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) তথ্য অনুসারে, ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অবস্থান অষ্টম। আর মোট ফল উৎপাদনে বিশ্বে ২৮তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার পর গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়াকে বিস্ময়কর বলেই মনে করছে বিশ্ব। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অনুমোদিত পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন এক দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি উন্নীত হবে ডাবল ডিজিটে। মাথাপিছু আয় আরও বাড়বে। এশিয়ার অর্থনীতিতে জন্ম নেবে নতুন ইমার্জিং টাইগার, যার নাম বাংলাদেশ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থা ‘ক্যাপিটাল ইকোনমিকস’ অবশ্য আগেই বলেছে, বাংলাদেশও হতে পারে এশিয়ার নতুন টাইগার। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে তৈরি করা এক সংবাদে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার বলেছে, মানুষ যখন ‘এশিয়ান টাইগার’ নিয়ে আলোচনা করে, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকেই বোঝায়। গত শতকের ষাটের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত এই চারটি দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটে। কিন্তু এখন আরও একটি দেশ রয়েছে, যার নাম মনে আসা উচিত, সে দেশের নাম বাংলাদেশ।’

সর্বশেষ খবর