নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় ও মারধরের অভিযোগ নিয়ে নিয়মিত নির্বাচন কমিশনে যাওয়া বিএনপি নেতারা বলেছেন, পুলিশের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে চলার কথা থাকলেও তারা ‘তা করছে না’। সে কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এখনই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমানতালে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর চড়াও হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শনিবার ঢাকাসহ দেশের অন্তত ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে হয়রানি বন্ধে আবারও কমিশনে চিঠি দিয়েছে দলটি।
সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল দুপুরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভিযোগ ও দাবিগুলো তুলে ধরেন। নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলা এবং হবিগঞ্জ-৮ আসন, চট্টগ্রাম-৯ আসন ও ময়মনসিংহে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা না থাকায় ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সচিব জানিয়েছেন, আমাদের অভিযোগগুলো কমিশনের কাছে তোলা হয়, কমিশন আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়।’ এখনই ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, পুলিশ তো কমিশনের কথা শুনছে না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একটা পাপেট। তাই এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে হবে।’ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন থাকলেও ঢাকায় এখনো তাদের কোনো প্রার্থী ‘প্রচারে নামতে পারেননি’। সেলিমা রহমানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, আতাউর রহমান ঢালি ছিলেন।সোনাইমুড়ির ওসিকে প্রত্যাহার দাবি : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর হামলার ঘটনায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। খোকনের ছেলে সাকিব বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে এই দাবি জানান। লিখিত আবেদনে তিনি বলেন, ওসির নির্দেশে পুলিশের গুলিতে বিএনপি প্রার্থীসহ ৪০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ জন্য ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।