সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভো টে র হা ও য়া সা রা দে শে

প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ আসনে প্রার্থী রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। আর দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে বিএনপির ২৭২ জন। দলীয়ভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬১ জন। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে কোনো দলের ৩০০ আসনে প্রার্থী নেই। তবে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটগতভাবে সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। জাতীয় পার্টি ও জেপি মহাজোটের শরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজেদের প্রতীকে ভোট করছে। বিএনপি তাদের জোটসঙ্গী নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতকে নিজেদের প্রতীকে ভোট করাচ্ছে।

দলীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ আসনে প্রার্থী রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। আর দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে বিএনপির ২৭২ জন। তবে জোট শরিকরা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করছে বলে ধানের শীষের প্রার্থী সংখ্যাও ২৯৮ জনেরদাঁড়িয়েছে। তবে আদালতের রায়ে এই সংখ্যা কমতে-বাড়তে পারে। বাকি দুটি আসন জামায়াতের স্বতন্ত্র ও এলডিপির প্রার্থীর জন্য খালি রেখেছে বিএনপি। ভোটের আগে বিএনপিসহ ১১টি নিবন্ধিত দলের এক জোটে ভোট করার কথা থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর তা দাঁড়িয়েছে আট দলে। বিএনপির সঙ্গে রয়েছে জেএসডি, বিজেপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণফোরাম, কল্যাণ পার্টি, খেলাফত মজলিস ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। তাদের ২৬টি আসন ছেড়েছে বিএনপি। দলীয়ভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের, ২৬১ জন। আর শরিকদের মিলিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জনে। দুটি আসন জেপি এবং মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির জন্য ২৪টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোটের আগে ১১টি দল নৌকা প্রতীকে ভোট করতে চাইলেও প্রতীক বরাদ্দের সময় আরও পাঁচটি দলকে নৌকা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিকল্পধারা, জাসদ, তরীকত ফেডারেশন ও ওয়ার্কার্স পার্টির ১২ জনকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৪৮ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৯৯ জন, দলীয় প্রার্থী ১৭৪৯ জন।

কোন দলের কত প্রার্থী : এলডিপি ৮ (ধানের শীষ ৪), জেপি ১১ (মহাজোট ২), সাম্যবাদী দল ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৯ (ধানের শীষ ৪), সিপিবি ৭৪, আওয়ামী লীগ ২৬১ (নৌকা ২৭৪), বিএনপি ২৭২ (ধানের শীষ ২৯৭ বা ২৯৮), গণতন্ত্রী পার্টি ৬, ন্যাপ ৯, জাতীয় পার্টি ১৭৬ (মহাজোট ২৫), বিকল্পধারা ২৫ (নৌকা ৩), ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ (নৌকা ৫), জাসদ ১২ (নৌকা ৩), জেএসডি ১৯ (ধানের শীষ ৪), জাকের পার্টি ৯০, বাসদ ৪৫, বিজেপি ৩ (ধানের শীষ ১), তরীকত ফেডারেশন ১৭ (নৌকা ১), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৩, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪৮, এনপিপি ৭৯, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৮ (ধানের শীষ ৩), গণফোরাম ২৭ (ধানের শীষ ৭), গণফ্রন্ট ১৩, পিডিপি ১৪, বাংলাদেশ ন্যাপ ৩, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, কল্যাণ পার্টি ২ (ধানের শীষ ১), ইসলামী ঐক্যজোট ২৪, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাগপা ৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (ধানের শীষ ২), বিএমএল ১, মুক্তিজোট ২, বিএনএফ ৫৭ জন।

সর্বশেষ খবর