বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রার্থিতা ফিরল না খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পেতে দায়ের করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের তিনটি আবেদন খারিজ করে দেয়। এর ফলে এই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না বলে জানিয়েছেন ইসির আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। হাই কোর্টের এই বেঞ্চের প্রতি খালেদার আইনজীবীরা অনাস্থা জানিয়ে যে আবেদন করেছিলেন, তাও খারিজ করা হয়েছে। ইসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। খালেদা জিয়ার মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে বিভক্ত আদেশ হওয়ার পর নিষ্পত্তির জন্য গত সপ্তাহে বিষয়টি হাই কোর্টের এই একক বেঞ্চে আসে। গত বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চে শুনানি শুরু হলে খালেদার আইনজীবীরা বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে এ বেঞ্চের ওপর তাদের আস্থা নেই। এরপর শুনানি মুলতবি রাখা হয়। গতকাল লিখিতভাবে অনাস্থা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আদালত ওই অনাস্থার আবেদন খারিজ করে রিটের শুনানি করতে বললে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও বদরুদ্দোজা বাদল আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। ইসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তাকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে প্রার্থী করেছিল বিএনপি। সম্প্রতি হাই কোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়। ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে দুই বছরের বেশি সাজার কারণ দেখিয়ে খালেদার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়। খালেদার আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও বিফল হন। পরে তারা হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। কিন্তু হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর