জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধি লাভ করেছে। দুর্নীতি দূর করতে পারলে আরও অনেকদূর যাওয়া যাবে। আমাদের সম্পদের সুষম বণ্টনের কথা এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা ভাবতে হবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ বক্তব্য দেন।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রীতির পথে প্রধান অন্তরায় সাম্প্রদায়িক শক্তি। আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে উচ্ছেদ করতে পারিনি। আমরা দেখি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই এই সাম্প্রদায়িক শক্তি ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন করেছে। এই সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলের দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিলেই হবে না, নাগরিক সমাজকেও দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশ সমাবেশ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে দেশের শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, বিচারপতি, আইনজীবী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, চিকিৎসক, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, শহীদ সন্তানসহ আরও অনেকে অংশ নেন। অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবারের নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘সাংস্কৃতিক যুদ্ধ এখনো চলছে। এ যুদ্ধ চালিয়ে জঙ্গিবাদমুক্ত একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন আগামীকালের (রবিবার) নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, এই সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা করেন।
