মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ফোন করেছেন মোদি, চীনসহ আন্তর্জাতিক মহলের সন্তোষ

অভিনন্দনে সিক্ত প্রধানমন্ত্রী

আজ জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, এমপিদের শপথ ৩ জানুয়ারি, চলছে মন্ত্রিসভার প্রস্তুতি

নিজস্ব ও কূটনৈতিক প্রতিবেদক

অভিনন্দনে সিক্ত প্রধানমন্ত্রী

ফুলেল শুভেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দলের প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খিসা ওয়াংচুক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ বিশ্ব নেতারা। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া শেখ হাসিনা অভিনন্দনে সিক্ত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম নেতা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ হবে ৩ জানুয়ারি। ওই দিন জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ পড়াবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আজ সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে নেতৃত্ব দেবেন।

নয়াদিল্লি থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের প্রতি নিজেদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী হিসেবে, আঞ্চলিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নেতা হিসেবে অভিনন্দন জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে ধারাবাহিক ও উদার সহায়তার জন্য ভারতকেও ধন্যবাদ জানান এবং এই অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি করার জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। তাদের এই কথোপকথন খুব আন্তরিক ছিল, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ফোনে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন পাওয়ায় নিজের খুশির কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত মেয়াদে ভারতের সহায়তার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জানান।

গতকাল দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের শুভেচ্ছা বাণী পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে তার ভিশন-২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে এবং ওই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সব পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দ্রুত দারিদ্র্যের হার শূন্যে নেমে আসবে। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঝ্যাং ঝু। এ সময় তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে বিশ্বের অন্যতম নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। সাক্ষাতের সময় শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে বেইজিংয়ের সহযোগিতা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। চীনকে বাংলাদেশের ‘বড় বন্ধু’ আখ্যায়িত করে তার পরবর্তী পাঁচ বছরের শাসনামলে চীনের আরও বিনিয়োগ আশা করেন। ঢাকার পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ভুটানের রাজা জিগমে খিসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের অভিনন্দন : নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। গতকাল সকালে গণভবনে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিবায়াত, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, পুলিশের পক্ষ থেকে আইজিপি মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। পরে গণভবনে অতিথিদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এটা আরেকটি বড় বিজয়। ক্ষমতা আমার কাছে ব্যক্তিগত কিছু নয়, বরং ক্ষমতা হলো দেশ ও জাতির জন্য বড় একটি দায়িত্ব পালন করা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের পুনর্নির্বাচিত করে জনগণ তাদের সেবা করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো পূরণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।’ এ ছাড়া বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। আরও অভিনন্দন জানান গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু প্রমূখ।

সংসদ সদস্যদের শপথ ৩ জানুয়ারি ৬ তারিখ হতে পারে নতুন মন্ত্রিসভার : নতুন বছরের শুরুতেই শপথ নেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা। এটি হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার। আগামী ৬ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই এ শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পর এখন সংসদ সদস্যদের শপথ এবং নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের দিকেই পুরো দেশের চোখ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশের পরপরই দুই-তিন দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত, গেজেট প্রকাশের পর তিন দিনের মধ্যেই সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের পর আগামী ৬ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা শপথ নিতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আয়োজন সম্পন্ন করা হবে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেই অনুযায়ীই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংসদ সচিবালয়। নবনির্বাচিত একাধিক সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যেই তারা রাজধানী ঢাকায় আসছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এর আগেই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করতে চায় সরকার। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিবহন পুলের গাড়িও প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা রাষ্ট্রপতির কাছে মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি চাইবেন। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত করবেন। এ ছাড়া সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যার কমপক্ষে ১০ ভাগের ১ ভাগ সদস্যকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। আর নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান মন্ত্রিসভা তার কার্যকারিতা হারাবে।

এদিকে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হিসেবে স্থান পাচ্ছেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে কারা বাদ পড়ছেন, নতুন কারা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন এ নিয়েও ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি শপথ নিয়েছিল নতুন মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় তখন, যার মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার রদবদল আনা হয় এবং সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয় বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায়।

সর্বশেষ খবর