বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করেই উপজেলা পরিষদের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চে নির্বাচন করতে হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আইন অনুযায়ী, কোনো উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপজেলা নির্বাচন তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা উপজেলা নির্বাচন করার জন্য মার্চ মাসটাকে ধার্য করেছি। কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেভাবে এগিয়ে যাব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই, ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোট হয়। সে সময় ছয় ধাপে ৪৮৭টিরও বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল দেশের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওইসব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই বছর ৪৬০টি উপজেলায় এ নির্বাচন হয়। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ৪৭৫টি উপজেলায় এ নির্বাচন হয়। উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।

চলছে প্রস্তুতি, প্রস্তুত রয়েছে ব্যালট পেপারের কাগজও

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচন শেষ করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত রয়েছে। সংসদের ভোটের সঙ্গে নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটা করেছে ইসি। উপজেলা নির্বাচনের মালামালের মধ্যে রয়েছে- ব্যালট পেপারের কাগজ, স্ট্যাম্প প্যাড, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, লাল গালা, আম কাঠের প্যাকিং বাক্স, অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ফরম, প্যাকেট। এজন্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর