বুধবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নির্বাচন নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে ঐক্যফ্রন্ট

সংলাপ, সফরসহ তিন দফা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দ্রুত মামলা দায়ের করাসহ তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐকফ্রন্ট। এছাড়া পেশাজীবীদের নিয়ে শিগগিরই জাতীয়  সংলাপের আয়োজন এবং নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব এলাকার নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেসব এলাকা সফর করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রাজধানীর বেইলী রোডে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এসব কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু প্রমুখ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ নিয়েই আমরা আদালতে যাব। এজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি চেয়েছি। যাতে তা আদালতে উপস্থাপন করা যায় যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবে এক্যফ্রন্টের নেতারা। ভোটের দিন সিলেটের বালাগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের একজন কর্মী নিহত হন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের আগের রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে, সরকারি সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকা  গুরুতর অপরাধ। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া আমরা নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি চাই। এ ফলাফলের অনুলিপি আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে যেন প্রমাণ করতে পারি যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।

সর্বশেষ খবর