বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ বর্জিত নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে কোনো পার্লামেন্ট গঠন বা সরকার গঠন নিয়ে মন্তব্য করাটা তো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে এ সরকারকে নির্বাচিত করেনি। বরং গোটা জাতি তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের  নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে নির্বাচনের ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি- সে নির্বাচনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ পুরোপুরিভাবে যা বর্জন করেছে এবং নির্বাচনের ফলাফল কখনই মেনে নেয়নি সে নির্বাচনে সরকার গঠন নিয়ে মন্তব্য করাটা হাস্যকর। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। পার্লামেন্ট গঠন প্রত্যাখ্যান করেছি এবং সরকার গঠন পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো অধিকার নেই যে- বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ওপর তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করার। কারণ জনগণ ভোট দিয়ে এদের নির্বাচিত করেনি। বিগত ২০১৪ সালে এই প্রেক্ষাপটই ছিল এবং এরপরও ৫ বছর তারা শাসন করেছে’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে এ ধরনের প্রহসনের মাধ্যমে গোটা জাতি ‘ডিপ্রাইব’ (বঞ্চিত) হয়ে গেছে। আপনারা একবারও ভাবেন না কেন যে, গোটা বাঙালি জাতির সঙ্গে আজকে প্রতারণা করল। একবারও ভাবেন না কেন, আপনাদের মনের মধ্যে আবেগ আসে না যে- আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি যে চেতনার ভিত্তিতে- সেই চেতনাকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে কিছু লোকের দখলদারিত্বের জন্য আপনি সরকার গঠন করেছেন দেশ পরিচালনার জন্য। আবার আপনারা সেই ধরনের প্রহসনের নির্বাচনেরই রেফারেন্স টানবেন! বিএনপি এখন কী করবে? এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এখন যা করার তা-ই করবে। জনগণের দল, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবে, গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করবে জনগণের সরকারের জন্য।