বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জাতির জনকের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

জাতির জনকের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

গতকাল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া করছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা -বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ফাতিহা পাঠ করেন এবং দেশ, জাতি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। পরে শেখ হাসিনা তাঁর নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে আরেকবার শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। তিনি সেখানে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জাতির পিতার সমাধিতে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

টুঙ্গিপাড়ায় হেঁটেই হেলিপ্যাডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী : গাড়িতে না চেপে হেলিপ্যাড পর্যন্ত রাস্তাটুকু হেঁটে গিয়ে হেলিকপ্টারে চড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর  পৈতৃক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি রাস্তা হেঁটেই পাড়ি দেন তিনি। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। খবর বাসস’র।

গতকাল বিকালে রাজধানীতে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রীর হেলিপ্যাড পর্যন্ত এই আকস্মিক হেঁটে যাওয়া দেখে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যার পর নাই বিস্মিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থল এবং তাঁর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় এলে শেখ হাসিনা যেন শৈশবের সোনাঝরা দিনগুলোর মধ্যে হারিয়ে যেতে চান। প্রটোকল আর বিধিনিষেধের বেড়াজালটি যেন বারবারই ছিন্ন করে জনগণের নেত্রী মিশে যেতে চান জনতার কাতারে। আর সে কারণেই এখানে এসে এর আগে নাতিপুতিদের নিয়ে রিকশাভ্যানেও চড়েছিলেন বিশ্ব মানবতার জননী উপাধিতে ভূষিত বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স থেকে বের হয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে গাড়ির কোনো প্রয়োজন নেই। এটুকু পথ তো হেঁটেই যাওয়া যায়।’

সর্বশেষ খবর