বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ব্রেক্সিট নিয়ে উত্তেজনা, ভোটাভুটি

কঠিন পরীক্ষায় তেরেসা মে

প্রতিদিন ডেস্ক

কঠিন পরীক্ষায় তেরেসা মে

ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের করা চুক্তির বিষয়ে গতকালই ভোটাভুটি হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ভোটের আগে জনমত জরিপে দেখা গেছে, এমপিদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবণা খুবই ক্ষীণ।

প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে নিজের দলের সব সংসদ সদস্যের সমর্থন পাবেন না বলে ধরে নিচ্ছেন। তবে পরাজয়ের ব্যবধান কম হলে তিনি দ্বিতীয়বার এই চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির পথে যেতে পারেন। কিন্তু এমনটা না হলে ব্রিটেন চরম অনিশ্চয়তার পথে এগিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদের নির্দেশ অনুযায়ী মাত্র ৩ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প পথ তুলে ধরতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সংসদ সদস্যদের মধ্যেও চুক্তির কোনো বিকল্প সম্পর্কে ঐকমত্য নেই। সোমবারও প্রধানমন্ত্রী মে সংসদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করেন। ২০১৬ সালে গণভোটের রায় কোনো বিলম্ব ছাড়াই কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ব্রেক্সিট চুক্তি ‘নিখুঁত’ না হলেও এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি। অর্থাৎ দ্বিতীয় গণভোট, বিচ্ছেদের দিন পিছিয়ে দেওয়া, নতুন করে ইইউর সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টার মতো প্রস্তাব উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। ব্রেক্সিট চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা কার্যত অপরিবর্তিত থাকবে। এই সময়কালে ব্রিটেন ও ইইউর মধ্যে স্থায়ী ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে নতুন চুক্তির প্রস্তুতি নিতে হবে। এক রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রে তারও এক রূপরেখা স্থির করা হয়েছে। ভোটের আগে তিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ‘সুনিশ্চিত’ পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পাদিত তেরেসা মের ওই খসড়া চুক্তির প্রশ্নে নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতাদের অবস্থান বিশ্লেষণ করে ওই তিন সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছে, লেবার পার্টিসহ অন্যান্য  বিরোধী দলের প্রায় সব আইনপ্রণেতাই তেরেসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। পাশাপাশি নিজ দলের প্রায় ১০০ আইনপ্রণেতার বিরোধিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে বড় ধরনের পরাজয় এড়ানো কঠিন হবে তেরেসার জন্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর