বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গার্মেন্ট শ্রমিকরা কাজে ফিরছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। স্বাভাবিক রয়েছে মহাসড়কসহ শিল্পাঞ্চল এলাকার রাস্তাঘাট। আট দিন টানা বিক্ষোভের পর দু-একটি গার্মেন্ট ছাড়া প্রায় সব গার্মেন্টেই ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ করছেন। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সব গার্মেন্টে রয়েছে পুলিশ-র‌্যাবসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি।

পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম  মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ১ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয় সেখানে। ওই মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে বেতন কমে যাওয়ায় অভিযোগ জানিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও আশপাশের গার্মেন্ট কর্মীরা বিক্ষোভ করে। আন্দোলনের মুখে গত রবিবার সচিবালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ৬ গ্রেডে বিভিন্ন অংকের মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর থেকে এই কাঠামো কার্যকর হবে। ডিসেম্বরের বেতন হয়ে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া বাড়তি বেতন পাবেন শ্রমিকরা। জানা গেছে, ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার গার্মেন্ট শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। টানা ৮ দিন বিক্ষোভের পর এ অঞ্চলের দু-একটা কারখানা ছাড়া অন্য সব কারখানায় কাজ চলছে। কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাব। স্বাভাবিক ছিল যানবাহন চলাচল। গতকাল আশুলিয়ার জামগড়া সাফা সোয়েটার নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বেরিয়ে যান। তবে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পাশে এফএনএফ ট্রেড ফ্যাশন নামের একটি কারখানাও বন্ধ পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিস টানিয়ে রেখেছে।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ফ্যান্টাসি কিংডমে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সব কারখানা খুলে গেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। শ্রমিক অসন্তোষের উৎসাহ জুগিয়েছেন এমন কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে আশুলিয়া ও সাভার থানায়। গত রবিবার ন্যূনতম মজুরি আদায়ের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিলে তাদের বেতন ও কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মালিকপক্ষের শীর্ষ  নেতারা। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলেছিল, ‘একটি মহলের ইন্ধনেই শ্রমিকরা এ ধরনের আন্দোলন চালাচ্ছে বলে তারা মনে করেন।’

সর্বশেষ খবর