শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

যেখানে ক্ষমতা সেখানে তারকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

যেখানে ক্ষমতা সেখানে তারকা

এভাবেই তারকারা এক সময় যোগ দিতেন তারেক রহমানের অনুষ্ঠানে ছবি : সংগৃহীত

যেখানে ক্ষমতা সেখানেই ভিড় জমান গ্লামার জগতের তারকারা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশ উৎসব নামে দেশজুড়ে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকতেন তখনকার প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান। সেই অনুষ্ঠানগুলো মাতিয়ে রাখতেন নায়িকা আর গায়িকারা। টিএসসিতে অনুষ্ঠিত উৎসবে একজন গায়িকা তার গানের মধ্যদিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাবা এবং তারেক রহমানকে ভাই হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ওই  অনুষ্ঠানে ছিলেন বিখ্যাত অনেক নায়িকা; যারা এখন আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। নায়ক-নায়িকা বা গায়ক-গায়িকাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আদর্শের সংগঠন জাসাস বা জিসাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। অনেকেই বেগম খালেদা জিয়ার হাত থেকে জিয়াউর রহমান স্বর্ণপদকও গ্রহণ করেন। ওইসব অনুষ্ঠানের ছবিও বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সামাজিক গণমাধ্যমে (ফেসবুক) তুমুল ঝড় বইয়ে যায়। তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েকজন তারকার ছবিও ভাইরাল হয়। ছিল নানারকম মন্তব্য। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) অনেক কেন্দ্রীয় নেতা তাদের এক সময়ের নেত্রীদের হারিয়ে মন খারাপ করে বলছেন, ‘অনেকেই সামাজিক কারণে হয়তো গিয়েছেন। আবার সামাজিক কারণেই হয়তো একদিন তারা ফেরত আসবেন।’ তবে গতকাল বাংলাদেশে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নায়িকাদের ভিড় কমে যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির অফিসে। সেখানে ভিড় বেড়ে যায় দলের রাজনৈতিক কর্মীদের। চিত্রনায়িকা মুক্তি জানান, তিনি মনোনয়নপত্র নেননি। তবে তার মা আনোয়ারা নিয়েছেন কি না তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এদিকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলেই এখন মূল আলোচনা চলছে নায়িকা-গায়িকাদের নিয়ে। কে কোন দলে আছেন তারও হিসাব মিলাচ্ছেন অনেকে। সংস্কৃতিসেবীদের মতে, তারকারা কোনো দলকে সমর্থন করতেই পারেন। কিন্তু এভাবে দলে দলে মনোনয়ন চাওয়া নজিরবিহীন। এটা শুধু রাজনীতির জন্য নয়, সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্যও ক্ষতিকর। এতে করে তাদেরও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কারণ, অনেক তারকা দীর্ঘ সময় ধরেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তাদের কথা আলাদা। তাদের মানুষ সম্মানও করেন। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা কারও জন্যই ইতিবাচক নয়। এমনকি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও ভালো বার্তা দেয় না।

সর্বশেষ খবর