সোমবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হত্যা মামলায় জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গতকাল দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত।

গতকাল আদালতে মামলার বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর মিলনায়তনে শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’ এজাহারে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে।’

ওই ঘটনায় গত ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর মামলাটি গত ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। পরে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন।

হাই কোর্টে খালেদার জামিন আবেদন : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দায়ের করা নাশকতা ও হত্যা মামলায় জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন। আজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, সোমবার শুনানি হতে পারে। তিনি বলেন, কুমিল্লার নাশকতার এ মামলায় বিচারিক আদালত জামিন আবেদনের শুনানি দীর্ঘায়িত করছেন। তাই এ পর্যায়ে আমরা জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছি। 

বিএনপি-জামায়াতসহ ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি নৈশ কোচে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা আসছিল। এ আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান। পরদিন রাতে এই ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর