জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর গুজব রটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ গুজব ছড়িয়েছে। তবে এরশাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন এবং তার অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো। বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকেও সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতালে এরশাদের একাধিক সফরসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৃত্যুর গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মুহম্মদ মুর্শেদ জানিয়েছেন, বড় ভাই আগের তুলনায় অনেক ভালো। আরেক সফরসঙ্গী এরশাদের একান্ত সচিব ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার গতকাল বেলা ২টায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সকাল থেকেই এরশাদ বেশ ভালো বোধ করছেন। তিনি এরশাদের পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান জানিয়েছেন, হাসপাতালে স্যারকে (এরশাদ) আগের চেয়ে বেটার দেখলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে শিগগিরই পূর্ণ সুস্থ হয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরবেন। এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুন জানান, সিঙ্গাপুরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি স্যার সুস্থ আছেন। কাজী মামুন জানান, পরাজিত একটি শক্তি এরশাদের মৃত্যুর গুজব ছড়াচ্ছে। মিথ্যা-বানোয়াট তথ্যে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এরশাদ সুস্থ আছেন। এখন বেশ স্বাভাবিক, কথাও বলছেন সহজে।
জানা গেছে, লিভারের উন্নত চিকিৎসা নিতে রবিবার সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সেদিন তাকে হুইল চেয়ারে করে বারিধারার পার্ক রোডের বাসার নিচতলায় নামিয়ে আনেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা : এদিকে গতকাল বিকালে পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে এইচ এম এরশাদের সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহম্মদ কাদের। তিনি বলেন, বড় ভাইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে তার কথা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। গতকাল পার্টির চেয়ারম্যান খাবার খেয়েছেন এবং কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেছেন। জি এম কাদের আশা করেন পার্টি চেয়ারম্যান দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে তাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে আলমগীর সিকদার লোটন সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা সঞ্চালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, কেন্দ্রীয় নেতা কারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সরদার শাহজাহান, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুঁইয়া প্রমুখ।