সদরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি মানিক-৩ নামে এক লঞ্চের ধাক্কায় একটি খেয়া নৌকাডুবির ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই নিহত রোজিনা পারভিন (৪৫) ও তার জা মমতাজ বেগমের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর গতকাল সকাল ৮টায় নিহত রোজিনা পারভিনের স্বামী মো. মতিউর রহমান (৫২) এবং দুপুর ২টায় একমাত্র শিশু পুত্র তামিমের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। সবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রোজিনা পারভিনের ভাই বাবু জানান, তার বোন রোজিনা পারভিনের স্বামী মতিউর রহমান কালিগঞ্জ হাজী মজিবর রহমান মার্কেটের একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। তার ওই মার্কেটে মা-বাবার দোয়া নামে একটি দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাতে তার বোন, স্বামীর সঙ্গে সন্তান, জা ও জায়ের ছেলে আকাশকে নিয়ে তৈলঘাটে আসে। এ সময় তারা বোনের স্বামীর বড় ভাইয়ের বাসায় (গেন্ডারিয়া) যাওয়ার জন্য একটি খেয়া নৌকায় করে সদরঘাট টার্মিনালঘাটে যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝখানে আসা মাত্র সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের একটি পন্টুনে থাকা এমভি মানিক-৩ নামে একটি লঞ্চ হঠাৎ পেছন দিক থেকে এসে তাদের নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়া নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তার বোনের স্বামী মতিউর রহমান, বোন রোজিনা পারভিন, ভাগ্নে তামিম ও বোনের জা মমতাজ বেগম পানিতে তলিয়ে যায়। তবে নৌকার মাঝি ও মমতাজের ছেলে আকাশ (২০) সাঁতরে পাড়ে ওঠে প্রাণে বেঁচে যান।
সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবদুুর রাজ্জাক জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ এমভি মানিক-৩ লঞ্চটি আটক রেখেছে।