শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আজ প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্র, যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনোত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন আজ। এ জন্য তিনি বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে নেতাদের চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ গ্রহণ করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ছাড়াও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোটের আটটি দলের নেতা, ১৪-দলীয় জোট শরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্ট চা-চক্রে অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। 

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল গত ১ নভেম্বর গণভবনে সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। এর ৭ দিন পর ৭ নভেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দ্বিতীয দফায় সংলাপে বসেন। পরে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়। নির্বাচনের পরে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৩ জানুয়ারি বলেন, আবারও সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের আবার আমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত সংলাপে অংশ গ্রহণ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাতেই এ চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। চা-চক্রের আলাপচারিতায় আগামীতে সরকার পরিচালনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে অংশ গ্রহণ না করাকে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এটাই তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।’

না যাওয়ার চিঠি ঐক্যফ্রন্টের : প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণে যাবে না জানিয়ে গণভবনে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর স্বাক্ষরে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সকালে গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে চিঠি নিয়ে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সমন্বয় কমিটির সদস্য আজমেরী  বেগম এবং মিডিয়া প্রধান জাহাঙ্গীর আলম।

চিঠিতে জানানো হয়, কমিটি এই চা-চক্রে অংশ না  নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে সরকার কোনোভাবেই নৈতিক নয়। সেদিন দেশের মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতা-কর্মী এখনো  জেলে আছেন। নতুন নতুন মামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে অংশগ্রহণ করা  কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। চিঠি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা বেলা ১১.২০টায় চিঠি নিয়ে গণভবনে যাই। প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ খোরশেদ আলম ১২টা ৫০ মিনিটে গ্রহণ করেন।’

সর্বশেষ খবর