রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দখলে দূষণে মরছে নদী

সাঈদুর রহমান রিমন

দখলে দূষণে মরছে নদী

দখল দূষণে বিপন্ন বুড়িগঙ্গা। দেখার যেন কেউ নেই -আবু তাহের খোকন

ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ নদ-নদী এখন দখল-দূষণ-বর্জ্যে মৃতপ্রায়। বিশেষ করে ঢাকাকে ঘিরে শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার সর্বত্রই চলছে দখলবাজদের আগ্রাসী থাবা। শুধু নদীর দুই পাড় দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি দখলবাজরা, তারা প্রবহমান নদীর পানিতেও বাঁশ-কাঠের মাচান তুলে বানিয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। মাত্রাতিরিক্ত দূষণে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গার পানি কুচকুচে কালো, হাজারীবাগে রক্তের মতো লাল। তুরাগের পানি কোথাও কালো, কোথাও গাঢ় নীল। টঙ্গীর অদূরে বালু নদের পানি ধূসর বর্ণ ধারণ করে আছে। বিষাক্ত তরল বর্জ্যে বিপন্ন হয়েছে পরিবেশ; নাগরিক জীবনেও নেমে এসেছে নানা বিপর্যয়। তবে আশ্চর্যের খবর হলো, নদ-নদীর দখল রোধে উচ্চ আদালতের দেওয়া দুই দফা নির্দেশনা অনেকাংশেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার চারপাশে শুধু নয়, সারা দেশেই চলছে আগ্রাসী থাবায় নদ-নদী দখলবাজির দুর্বৃত্তপনা। যে কোনো নদীর পাড়ে চোখ মেলে তাকালেই দখলবাজির পরিমাণটাও স্পষ্ট হয়ে যায়। জবরদখল প্রক্রিয়া থামাতে মাঝেমধ্যে সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নানা ফাঁক-ফোকর আর সীমাবদ্ধতায় থমকে দাঁড়ায়। কিন্তু প্রভাবশালী নদী দখলবাজরা থাকে অপ্রতিরোধ্য। তারা বার বারই সরকারি উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক নদী গ্রাস করে চলেছে। মাছ চাষের নামে স্থানে স্থানে বাঁধ দিয়ে নদীকে স্রোতহীনে পরিণত করা হয়। এর পরই মাটি ভরাট করে দখলে নিয়ে পৈতৃক সম্পত্তির মতো ব্যবহার চলতে থাকে। গাছপালা লাগানো, চাষাবাদ করাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণের মাধ্যমে দ্রুতই সে জায়গাকে বাণিজ্যিক চাহিদাসম্পন্ন স্থানে পরিণত করা হয়। এবার শুরু হয় সে জায়গার জাল কাগজপত্র তৈরি, পজিশন বিক্রি, মামলা-পাল্টা মামলায় আইনি জটিলতা সৃষ্টির নানা কূটকৌশল। বিভিন্ন নদ-নদীর শত শত পয়েন্টে ‘আদালতে মামলা চলমান’সংক্রান্ত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বছরের পর বছর নদীর জায়গা ভোগদখলের নজির রয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সময় খুঁটি পুঁতে নদীর সীমানা করা হলেও দেখা যায়, রাতারাতি সে খুঁটি নদীর আরও ভিতরে সরে যেতে থাকে। এভাবে দখল হতে হতে বড় বড় নদী এখন খালে পরিণত হয়েছে আর ছোট নদী হয়ে গেছে অস্তিত্বহীন, ড্রেন-নর্দমা। নদীর পরিচিতি তুলে ধরার স্রোতস্বিনী, প্রমত্তা, খরস্রোতা, জলরাশির মতো শব্দগুলো এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত...

ঢাকার চারপাশের নদ-নদী দখলবাজি রোধে হাই কোর্ট ২০০৯ সালের ২৫ জুন ১২ দফা নির্দেশনাসহ রায় জারি করে। রায়ে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ- এই চারটি নদ-নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নির্ধারণের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তীরবর্তী অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেয় আদালত। নির্দেশনায় বলা হয়, নদীর সীমানা নির্ধারণী পাকা খুঁটি (পিলার) স্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে নদীর উভয় তীর ঘেঁষে পায়ে হাঁটার পথও নির্মাণ করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় নদীগুলোর তীরবর্তী ৫০ গজ জায়গা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চারটি নদ-নদীতে প্রয়োজনীয় খননকাজ করবে। ২০১১ সালে অন্য এক রায়ে হাই কোর্ট বুড়িগঙ্গায় সংযুক্ত সব পয়ঃপ্রণালির লাইন ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিঃসরণ লাইন এক বছরের মধ্যে বন্ধ করতে ওয়াসার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে নদী দূষণমুক্ত রাখাসহ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ প্রদান করে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসককে প্রতি মাসে অবৈধ দখলবাজির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে উচ্চ আদালতের এসব আদেশ-নির্দেশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। আদালতের আদেশে নদীর সীমানা নির্ধারণের সিএস নকশা অনুসরণের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা প্রতিপালন করা হয়নি। সরেজমিন অনুসন্ধানকালে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, স্থানীয় পর্যায়ের ভূমি অফিসের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রভাবশালী দখলবাজরা নদীর জায়গার ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিয়েছে, তৈরি করেছে জাল দলিল-দস্তাবেজও। এসব ভুয়া জাল কাগজপত্র সম্বল করেই নানা রকম মামলা ঠুকে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি, স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দ্বারা দখল করে নিচ্ছে নদীর সীমানা। আইনি জটিলতার নানা ফাঁদ সৃষ্টি করেই কামরাঙ্গীর চর এলাকায় বুড়িগঙ্গা ও টঙ্গীর অদূরে তুরাগ নদের বহমান পানিতেই খুঁটি পুঁতে বড় বড় ভবন পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। বালু নদের বহু স্থানে মাটি ভরাট করে গড়ে উঠেছে পাকা-আধাপাকা শত শত স্থাপনা। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীর নদ-নদীগুলোকে কী এক অজানা আক্রোশে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে দখলবাজরা। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, বানার, তুরাগ, বংশী নদ-নদীর বুকজুড়ে এখন বড় বড় শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যের নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। দখলবাজিতে শীর্ণকায় রূপ নেওয়া খাল ব্যবহৃত হচ্ছে শিল্পবাণিজ্যের বর্জ্য, তরল রাসায়নিক উপাদান ফেলার কাজে। বিভিন্ন কলকারখানা থেকে মাটির নিচ দিয়ে দীর্ঘ পাইপ টেনে বর্জ্য ফেলায় এসব নদ-নদীর পানি হয়ে উঠেছে বিষময়। ঢাকার চারপাশে সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে তুরাগ নদ। আবদুল্লাহপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৬ মাইল এলাকাজুড়ে গত এক যুগে প্রায় ৩০০ একর নদীর জায়গা দখল হয়েছে। সেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বড় বড় ক্লিনিক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানার ছড়াছড়িতে কোথাও কোথাও তুরাগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াও কষ্টকর। তুরাগের পর সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে আদি বুড়িগঙ্গা নদী। কামরাঙ্গীর চর থেকে বছিলা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪১ মাইল এলাকায় গত এক যুগে নদীটির দখল হয়েছে দেড় শতাধিক একর পাড়ভূমি। নদী দখলের এ প্রতিযোগিতার দৃশ্য এখন দেশজুড়েই বিদ্যমান।

দখল-দূষণের অব্যাহত আগ্রাসনে সব নদ-নদীই মরণদশায় পতিত। পরিবেশ অধিদফতর, রাজউক, বিআইডব্লিউটিএ, ডিসিসি, জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা গত এক যুগে অন্তত ৫৬ দফা অভিযান চালিয়েছে, উচ্ছেদ করেছে ছোট-বড় ৯ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা। মামলা, গ্রেফতার, জরিমানাসহ নানারকম শাস্তিও দেওয়া হয়েছে দখলবাজদের। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সজাগ দৃষ্টি, সরকারি সংস্থাগুলোর তৎপরতা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিশ্চিত শাস্তির অভিযান সত্ত্বেও প্রভাবশালী নদী দখলদারদের ঠেকানো যায়নি।

দূষণে ধ্বংস পরিবেশ : রাজধানীর চারপাশে নদীতীরবর্তী ১১০ কিলোমিটার ও আশপাশের এলাকা দুর্বিষহ দূষণের শিকার। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিদিন দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনমিটার গৃহস্থালি বর্জ্যসহ প্রায় ৭ হাজার শিল্প ইউনিট থেকে নির্গত ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঘনমিটার শিল্পবর্জ্য মূলত খাল-নদী-জলাশয়ের ভয়াবহ দূষণ ঘটিয়ে চলছে। পরিবেশবিদরা বলেছেন, বুড়িগঙ্গার পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। তাই এই পানিতে এখন কোনো জলজ প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব। আর এই পরিস্থিতি পুরো রাজধানীরই বিপর্যয় ডেকে আনছে। নদী ধ্বংসের ক্ষেত্রে অন্যতম দায়ী হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে খোদ দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান- ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা সিটি করপোরেশন। শহরবাসীর বাসাবাড়ি থেকে জোগাড় করা অজস্র ময়লা প্রতিদিন খাল-নালা-ড্রেনের মাধ্যমে নদীর পানিতে মিশছে। ফলে কঠিন বর্জ্য ভরাটে ধ্বংস হচ্ছে নদী আর তরল বিষাক্ত উপাদানে বিষময় হচ্ছে নদীর পানি। ঢাকা ওয়াসার হিসাবমতে, ১২ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এদিকে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো থেকে দৈনিক নদীর পানিতে গিয়ে পড়ছে ২১ হাজার কিউবিক মিটার অপরিশোধিত বর্জ্য। এ ছাড়া নদ-নদী ঘেঁষা শিল্পকারখানাগুলোর ১৪০টিরও বেশি গোপন সুড়ঙ্গপথে পরিশোধন ছাড়াই ৬২ ধরনের রাসায়নিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্যে রয়েছে ক্রোমিয়াম, লেড, সালফিউরিক অ্যাসিড, পশুর পচা-গলা মাংস ইত্যাদি। ট্যানারি বর্জ্য শুধু বুড়িগঙ্গার পানিই দূষিত করছে না, নদীর তলদেশ ও উভয় পাড়ের মাটি এমনকি বাতাসকেও ভয়াবহভাবে দূষিত করছে। লাখ লাখ মানুষ পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে জন্ডিস, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মূত্রনালি ও কিডনিজনিত রোগ, চর্মরোগসহ ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অহরহ।

ওয়াকওয়ে নির্মাণেই বন্ধ হবে নদী দখল : র‌্যাব-পুলিশের সহায়তা নিয়ে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, বিআইডব্লিউটিএসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অবৈধ স্থাপনা, বস্তি, বসতি মুহূর্তেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু উচ্ছেদের মাধ্যমে ‘দখলমুক্ত জায়গা’ রক্ষায় আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী নদীতীর ঘেঁষে পায়ে হাঁটা পথ নির্মাণেও উদ্যোগ নেয় না কেউ। ফলে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হতে না হতেই সেসব জায়গা আবার জবরদখল হয়ে যায়। নদী রক্ষা আন্দোলনে সক্রিয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, রাজধানীর বিভিন্ন লেক এলাকা জবরদখলমুক্ত করে যেসব অংশে ওয়াকওয়ে ও ড্রাইভওয়ে নির্মিত হয়েছে, সেসব অংশে আর দখলবাজদের থাবা পড়েনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় এর আগে রেলওয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েই উদ্ধারকৃত জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া লাগিয়ে দেয়। ফলে সেসব জায়গায় আর অবৈধ দখলদাররা ঢুকতে পারেনি। একইভাবে গুলশান লেক জবরদখলমুক্ত করে যেখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে আর জবরদখলবাজদের আগ্রাসী থাবা পড়েনি ৮-১০ বছরেও। কিন্তু নদ-নদী থেকে অবৈধ দখলবাজদের হটালেও উদ্ধারকৃত জায়গায় ওয়াকওয়ে বা ড্রাইভওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে না। সেখানে ন্যূনতম কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এ কারণে দখলবাজদের থাবা থেকে রেহাই পায়নি নদ-নদীগুলো।

নদী ধ্বংসের আরেক চিত্র বালু বাণিজ্য : কোনো কোনো নদী যেখানে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হয় সেখানে নদী ধ্বংসের জন্যও বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজার দৌরাত্ম্যকে দায়ী করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত বালুমহাল ছাড়াও নদ-নদীর যেখানে সেখানে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দেদার বাণিজ্য করছে প্রভাবশালীরা। অপরিকল্পিত এই ড্রেজিংয়ের কারণে একদিকে নদীর পাড় ভেঙে আশপাশের জনপদ ও ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতিসাধন ঘটছে, অন্যদিকে নদীর তলদেশে স্রোতরেখারও পরিবর্তন ঘটছে। এতে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি ঢুকলেও কৃত্রিম স্রোতরেখা নদীর গতিপথকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেয় এবং মূল নদীর বড় অংশই পানিশূন্য ভূমিতে পরিণত হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে অতিসম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে রায় দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর