শিরোনাম
সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আরও কমল দরিদ্র অতিদরিদ্র

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে বলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) প্রতিবেদেন উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন-২০১৮ তুলে ধরা হয়। এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত ২৪.৩ শতাংশ মানুষ, ২০১৭ সালের দরিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.১ শতাংশে। ২০১৫ সালে অতিদরিদ্র মানুষ ছিল ১২.৯ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১২.১ শতাংশে। এসডিজির মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেগুলোও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি, কিছু ক্ষেত্রে অবনতিও হয়েছে। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এসডিজির বড় লক্ষ্য অর্জনে ব্যক্তি খাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে তথ্যের অভাব রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই, কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই তথ্য নেই। সারা দেশে এসডিজি অর্জনের তথ্য পেতে পরিসংখ্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’ তবে কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। বিদ্যুতের উন্নতি অভাবনীয়। বিদ্যুতের সফলতা আমরা ভোটের মাঠে পেয়েছি। সরকার পিডিবি ও আরইবির প্রশংসা করেছে।’ এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘এসডিজি অর্জন সব খাতে সমান নয়; বিশেষ করে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে। সমতার ক্ষেত্রে এসডিজিতে ফোকাস করা হয়নি। শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সিপ্পো বলেন, ‘কর্মসংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষ জনসম্পদ নেই। অসমতা বাড়ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য এগুলো দরকার হয়। শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম বাজেটে। এটি বাড়াতে হবে। বাল্যবিবাহ এখনো রয়ে গেছে। লিঙ্গ-অসমতা রয়েছে। দ্রুত নগরায়ণ হওয়ায় জলবায়ুর যে পরিবর্তন হয়েছে, এটি বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’

জানুয়ারিতে রেকর্ড রেমিট্যান্সে : চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলার  রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বেশি। এক মাসের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরে এটাই সর্বোচ্চ  রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই সময় ঈদের কারণে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময় এসেছিল ৮৩১ কোটি ২০ লাখ ডলার। সাত মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত এক বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি  ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর