মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শুনলেন ভয়াবহ নির্যাতনের কথা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শুনলেন ভয়াবহ নির্যাতনের কথা

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে দুই দিনের সফরে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নভোএয়ার বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। এরপর সরাসরি কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থানরত একটি তারকামানের হোটেলে অবস্থান করেন। দুপুর ২টায় টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গিয়ে মিয়ানমারে নির্যাতিত ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের কাহিনী শুনেন। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন। পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফরে ২ দিন কক্সবাজারে অবস্থান করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে নারী ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। এর আগে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা শুনে ঢাকায় আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এ হলিউড অভিনেত্রী। সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জোলি যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের দেখতে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে এখন দিন কাটছে তাদের। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে এর আগে অন্তত চারবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাংলাদেশ সফর বাতিল করা হয়। গত বছরের ২১ মে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন বলিউড অভিনেত্রী, সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মঙ্গলবার (আজ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এক্সেটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ‘ইউএনসিআর’ ব্র্যাক, রিলিফ ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা করার কথা রয়েছে। এ ছাড়াও ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর