শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

যেভাবে কাটে সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের একমাত্র বন্দী বিএনপি  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে সময় কাটে বিটিভি দেখে, পত্রিকা পড়ে। মাঝে মধ্যে তিনি গৃহকর্মী ফাতেমার সঙ্গে গল্প করেন। কারারক্ষীদের সহায়তা নিয়ে ফাতেমা তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে বারান্দায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ান। আদালতে বা হাসপাতালে আনা নেওয়াতেও হুইল চেয়ারই ভরসা। গতকালও দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন হুইল চেয়ারেই। সেখানে তার উপস্থিতিতে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় শুনানি হয়। কারা কর্মকর্তারা জানান, কারাবন্দী হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে প্রথমে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সিনিয়র জেল সুপারের কক্ষে রাখা হয়। গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন পাওয়ার পর সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে বন্দীদের সন্তান রাখার স্থান ডে-কেয়ার সেন্টারে নেওয়া হয়। ডে-কেয়ার সেন্টারের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির ডান পাশের দুটি কক্ষ থাকার উপযোগী করে তোলা হয়। একটি কক্ষে লাগানো হয় নতুন টাইলস, সিলিং ফ্যান; বসানো হয় খাট, চেয়ার ও টেবিল এবং বিটিভির সংযোগ দেওয়া হয় সেখানে। পাশের রুমে গ্যাসের চুলায় রান্নার ব্যবস্থাও রয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত পরিচারিকা ফাতেমা। ভিআইপি বন্দী ও জেলকোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে তাকে দুটি জাতীয় দৈনিক পড়তে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে গোলাপি শাড়ি পরে হুইল চেয়ারে বসে আদালতে হাজির হন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় পা থেকে কোমর পর্যন্ত সাদা ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল। শুনানি শেষে বেলা ২টার দিকে তাকে আবারও কারাগারে নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া আদালতে অবস্থানকালীন কোনো কথা বলেননি। ছিলেন একেবারে চুপ।

বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া প্রচন্ড  অসুস্থ। চোখেও প্রচন্ড  ব্যথা, তার পা ফুলে গেছে। অথচ তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কিছুদিন ধরে নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের নিচতলায় ছোট একটি কক্ষে অস্থায়ী ‘ক্যাঙ্গারু’ আদালত সাজিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেখানে ‘টেনে’ এনে জোর করে বিভিন্ন মামলার শুনানি করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর