রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আত্মসমর্পণ ইয়াবা সম্রাটদের

১০২ কারবারির মধ্যে আছে বদির ৩ ভাইসহ ১৬ স্বজন

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

আত্মসমর্পণ ইয়াবা সম্রাটদের

কক্সবাজারের টেকনাফে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ইয়াবা কারবারিরা অস্ত্র ও ইয়াবা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এর মধ্যে অন্তত ২৪ জন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি তালিকায় শীর্ষ ইয়াবা কারবারি। অবশ্য স্থানীয় পুলিশের দাবি, আত্মসমর্পিত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা অন্তত ৩৫।

আত্মসমর্পিতদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের মামলা হবে। ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে  আসার লক্ষ্যে তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল বিকালেই আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফের পুলিশ প্রশাসন বলছে, নতুন করে আত্মসমর্পণের সুযোগ আর কেউ পাবে না। এখন থেকে নিয়মিত কঠোর অভিযান চলবে স্থানীয় ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে। টেকনাফের ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই গেল জানুয়ারিতে আলোচনায় উঠে আসে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি। এর পরপরই গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইয়াবা কারবারিদের মধ্য থেকে দুজন চারজন করে ১০২ জন আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশের কাছে যান। সেখানে তারা কক্সবাজার পুলিশ লাইনসে অবস্থান করেন। পুলিশের হেফাজতে থেকে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। একাধিকবার তারিখ পেছানোর পর গতকাল টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পুলিশের উদ্যোগে ঘটা করে করা হয় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসাইন, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (উখিয়া-টেকনাফ) শাহিন আক্তার, জেলার অন্য তিন সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৈরি তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারিকে এ অনুষ্ঠানে দেখা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে ৩০ কেজি ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্র সমর্পণ করেন কারবারিরা। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এর আগে ১০২ জন ইয়াবা কারবারিকে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার পুলিশ লাইনস থেকে সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয় টেকনাফের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তাদের প্রথমে বিদ্যালয়ের একটি দোতলা ভবনে রাখা হয়। এ সময় তাদের দেখবার জন্য স্বজন ও এলাকার হাজারো মানুষ ভিড় জমান। আত্মসমর্পণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার অবস্থান নিয়েছেন।’ পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী অন্য চোরাকারবারিদেরও আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে যারা ঘাপটি মেরে আছেন, তাদের কাছে কঠোর বার্তা দিতে চাই। আত্মসমর্পণ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মাদককে নির্মূল করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য এই মাদক পাচারে যুক্ত থাকলে তাদের বিষয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশপ্রধান আরও বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যা যা করণীয়, তা করা হবে, আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে তাদের। আইনের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে যেন তা নিষ্পন্ন করা যায়, সে ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইয়াবা কারবারিরা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্মতি জানানোর পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ উদ্যোগে জেলা পুলিশও তৎপরতা শুরু করে। এতে অনেকে সাড়া দিয়ে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নিরাপদ হেফাজতে আসেন।

১০২ কারবারির আত্মসমর্পণ : সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কক্সবাজার জেলার ইয়াবা কারবারিদের ১ হাজার ১৫১ জনের যে তালিকা তৈরি করেছিল তার মধ্যে ৯০০ জনের বেশি টেকনাফের। এর মধ্যে ৭৩ জন রয়েছেন তালিকার শীর্ষে। যারা ইয়াবা ব্যবসায় ‘ডন’ হিসেবে পরিচিত সব মহলে। গতকাল যে ১০২ জন আত্মসমর্পণ করেছেন তার ২৪ জন শীর্ষ কারবারি। শীর্ষ ৭৩ জনের তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে আবার কয়েকজন হচ্ছেন টেকনাফের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই, ভাগ্নে, বেয়াইসহ আত্মীয়স্বজন। আত্মসমর্পণ করেছেন অলিয়াবাদের মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন (৪১), বদির ভাই চৌধুরীপাড়ার ফয়সাল রহমান (২৯) ও শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক (২৯), আলীর ডেইলের মৃত নজির আহম্মদের (বদির বেয়াই) ছেলে সাহেদ কামাল (৩২), আবদুর রহমান বদির ভাগ্নে মুন্ডার ডেইল গ্রামের মো. আবদুর রহমানের ছেলে মো. সাহেদ রহমান নিপু (৩৩), টেকনাফের পশ্চিম লেদা এলাকার মৃত হাজী আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল হুদা মেম্বার (৩৮), নাজিরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে এনামুল হক ওরফে এনাম মেম্বার (২৪), টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর কুলামপাড়ার নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ (৩১), টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদের ছেলে দিদার মিয়া (৩৫), মধ্যম জালিয়াপাড়ার আবদুল গফফারের ছেলে মোজাম্মেল হক (২৮), গোদার বিল এলাকার আলী আহম্মদের দুই ছেলে আবদুর রহমান (৩২) ও জিয়াউর রহমান (২৭), পশ্চিম লেদা এলাকার হাজী আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল কবির (৩৫), হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদারপাড়ার মৃত হাজী খায়রুল বশরের ছেলে ছৈয়দ আহম্মদ ওরফে ছৈয়তু (৫৬), দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার হাজী ওসমান গনির ছেলে জুবাইর হোসেন (৩০), নাজিরপাড়ার হাজী মো. ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান (৩০), নাজিরপাড়ার হাজী কালা মিয়ার ছেলে সৈয়দ হোসেন (৫৫), নাইটংপাড়ার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৪৮), শিলবুনিয়াপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে কামরুল হাসান রাসেল (৩৫), সদর ইউপি সদস্য আলীখালী এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে মো. জামাল মেম্বার (৫২), মৌলভীপাড়ার ফজল আহম্মদের ছেলে একরাম হোসেন (২৫), উত্তরপাড়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মৃত এবাদুল হকের ছেলে রেজাউল করিম মেম্বার (৩৪)। এদের সবার নাম শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির তালিকায় রয়েছে।

এ ছাড়া যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা হলেন অলিয়াবাদ গ্রামের মৃত ইবরাহিম খলিলের ছেলে মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু (৩০), বেইগ্নাপাড়ার মৃত মাস্টার ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার (৩৭), পুরাতন পল্লানপাড়ার মৃত হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম (৩৫), আলীর ডেইলের হাজী খুইল্লা মিয়ার ছেলে জাফর আলম (৪৩), জাহাজপুরার মৃত হাজী আবদুস শুক্কুরের ছেলে নুরুল আলম (২৬), হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়ার মৃত হাজী খায়রুল বশরের ছেলে রশিদ আহম্মদ ওরফে রশিদ খুলু (৫৪), হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার মৃত ছৈয়দুল আমিনের ছেলে রুস্তুম আলী (৩৫), জুমপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে শফি উল্লাহ (৩৮), মনতোলিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ছৈয়দ আলম (৪০), উত্তর লম্বরীর মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে আবদুল করিম মাঝি (৪০), রাজারছড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল কুদ্দুস (২৪), জাহেলিয়াপাড়ার শামছু মিয়ার ছেলে মো. সিরাজ (২৮), কচুবনিয়ার আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল হামিদ (৩৫), নাজিরপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. রফিক (৩২), নতুন পল্লানপাড়ার মো. সালামের ছেলে মো. সেলিম (৩২), নাইট্যংপাড়ার আমিন শরীফের ছেলে মো. রহিমুল্লাহ (২৯), নাজিরপাড়ার নুরুল আলমের ছেলে মো. হেলাল (৩২), চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. আলম (৪৫), হ্নীলা পূর্ব পানখালী এলাকার মৃত আবুল হাসানের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫২), তুলাতলী গ্রামের হাজী মোজাফফর আহম্মদের ছেলে নুরুল বশর ওরফে কালা ভাই (৪০), হাতিয়ার ঘোনার মো. ছিদ্দিকের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৪), হাতিয়ার ঘোনা করাচিপাড়ার আবদুল হাকিমের ছেলে মো. হাছন (৩২), দক্ষিণ নয়াপাড়ার সোনা আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪২), সদর কচুবুনিয়া এলাকার হাকিম আলীর ছেলে বদিউর রহমান (৪৭), চৌধুরীপাড়ার মৃত অংছেন ছার ছেলে মং সং থেইন ওরফে মমচি (৪৮), পূর্ব লেদার মৃত লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮), ডেইলপাড়ার মো. আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৩৪), উত্তর আলীখালী এলাকার জামাল মেম্বারের ছেলে শাহ আজম (২৮), দক্ষিণ নয়াপাড়ার মৃত মো. আবদুল্লাহর ছেলে আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন (৩০), মধ্যম ডেইলপাড়া হাজী মো. শরীফ মো. আবদুল্লাহ (৩৬), উত্তর শীলখালী এলাকার সোনালী মেম্বারের ছেলে মো. আবু ছৈয়দ (২৫), জাদিমুরা এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. হাসান আবদুল্লাহ (৩৪), ঝিনাপাড়ার মৃত মো. কাসেমের ছেলে আলী আহম্মদ (৩৫), মন্ডার ডেইল গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি (২৮), রাজার ছড়া এলাকার মো. কাশেমের ছেলে হোসেন আলী (২৭), দক্ষিণ নয়াপাড়ার মৌলভী আলী হোসেনের ছেলে মো. তৈয়ব (৪৬), উত্তর জায়িলাপাড়ার মৃত সৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল বশর মিজি (৫৫), নাজিরপাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে জামাল হোছাইন (৫৩), মৌলভীপাড়ার মৃত হাজী কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৭), মৌলভীপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে আবদুল গনি (৩৩), উত্তর জালিয়াপাড়ার মৃত হাছান আলীর ছেলে মো. হাশেম ওরফে আংকু (৩৮)। বাকিদের নাম ও পরিচয় গতকাল বিকাল পর্যন্ত প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। আজ দিনের যে কোনো সময় তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হতে পারে।

তাদেরকে নয়টি শর্ত : টেকনাফে গতকাল যে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন তাদেরকে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত নয়টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর প্রতি সহমত পোষণ করে তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। শর্তগুলো হচ্ছে- নিজের হেফাজতে থাকা সব ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র পুলিশে হস্তান্তর করতে হবে; আত্মসমর্পণের আগে দায়ের হওয়া মামলা ও বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে; ইয়াবা ব্যবসায় নিজের/পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে অর্জিত সব সম্পদ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং শাখা ও এনবিআরের মাধ্যমে যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে; যেসব মাদক ব্যবসায়ী এখনো সক্রিয় তাদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে; আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকা  করতে হবে; ভবিষ্যতে কখনো মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া যাবে না; আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি রুজু হবে এবং সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে তাদের আইনি সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সর্বশেষ খবর