বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অস্বচ্ছতা আমাকে স্পর্শ করবে না কমাব ভোগান্তি

নিজামুল হক বিপুল

অস্বচ্ছতা আমাকে স্পর্শ করবে না কমাব ভোগান্তি

শ ম রেজাউল করিম

শ ম রেজাউল করিম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুর-১ (সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। প্রথমবার সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৪০ দিনে তিনি মন্ত্রণালয়ে কর্মকা- বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতরগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর জন্য।

বাংলাদেশ প্রতিদিন রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর। এ সময় তিনি বলেছেন, কোনো অস্বচ্ছতা আমাকে স্পর্শ করবে না, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কোনোভাবেই আমাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দফতরে দুর্নীতি ও অনিয়মকে কোনো রকম আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলেছেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে পূর্বাচল। থেমে নেই ঝিলমিল প্রকল্পের কাজও। এর বাইরে কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমি নিয়ে নতুন আরেকটি আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর বাইরে আপাতত আর কোনো আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা নেই।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকারের ৪০ দিন পূর্ণ হলো আজ। এই সময়ের মধ্যে তো আপনি আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রায় সব দফতর পরিদর্শন করেছেন। কাজের একটা ধারণা পেয়েছেন। এখন মন্ত্রণালয়ের কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

শ ম রেজাউল করিম : গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মের পরিসর অনেক বড়। এখানে ১২টি অধিদফতর জড়িত। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), গণপূর্ত অধিদফতর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাউক), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (খুউক), কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (কউক) আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। আমি গত কিছুদিনে সব দফতর ও সংস্থার কর্মের বিষয়গুলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমি এগুলোর বিষয়ে একটা ভালো ধারণা নিয়ে কাজের গতি বাড়ানো, কাজে স্বচ্ছতা আনা এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ইতিমধ্যে যে কটি দফতরে গিয়েছি, সেই দফতর সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনার তো একটা ভিশন-মিশন আছে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিশেষ করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কী?

রেজাউল করিম : অবকাঠামোগত উন্নয়ন এই মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। সেই অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, ‘সবার জন্য আবাসন-কেউ থাকবে না গৃহহীন’ এবং নগরের সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে পরিবেশসম্মত এবং কোনোভাবে ইট-পাথর, কংক্রিটের জঞ্জালের শহর ও নগর প্রতিষ্ঠা না করে পরিবেশসম্মত পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা এবং সবার জন্য বসবাসের সুযোগটা নিশ্চিত করা, এর পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দফতরের জন্য ইমারত নির্মাণ করা অন্যতম। চট্টগ্রামে বিশাল ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছি। ঢাকা শহরের শান্তিনগর থেকে মাওয়ার চুনকুটিয়া পর্যন্ত বিশাল কর্মযজ্ঞ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। পূর্বাচলে ১৪২ তলাবিশিষ্ট আধুনিক নয়নাভিরাম টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। হাতির ঝিল ও গুলশানের সংযোগস্থলে সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে ধরনের একটা গ্রিন আধুনিক ইমারত নির্মাণ করা হবে, যেখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সবুজের আচ্ছাদন থাকবে। সেখানে আধুনিক রেস্তোরাঁ থাকবে, যেখানে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ-বিনোদনের সুযোগ পাবে। আমরা আরও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এই মন্ত্রণালয়ের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দ্রুততার সঙ্গে এবং মানসম্পন্ন ও পরিবেশসম্মতভাবে সম্পন্ন করতে চাই।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এই মন্ত্রণালয়ে যেসব দফতর রয়েছে-যেমন রাজউক, চউক, রাউক, খুউক, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ-এর সবই দুর্নীতির খোঁয়াড়। এসব দফতর নিয়ে একটা কথা চালু আছে যে টাকা ছাড়া একটা কাগজও নড়ে না। দুর্নীতির জাল বিস্তৃত...। এই দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধে আপনার পদক্ষেপ সম্পর্কে যদি বলতেন...।

রেজাউল করিম : আমি নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কোনো অস্বচ্ছতা আমাকে স্পর্শ করবে না, কোনো অনিয়ম কোনো দুর্নীতি কোনোভাবেই আমাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। আমার মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে আমি বার্তা দিয়েছি, সব প্রতিষ্ঠানকে জনবান্ধব হতে হবে। অনিয়মের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কোনো রকম দুর্নীতির অভিযোগ আসবে না। মানুষের কোনো ভোগান্তি থাকবে না। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আগে একটি ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য ১৬টি স্তরে যেতে হতো। এখান থেকে এখন মাত্র চারটি স্তরে এই নকশার অনুমোদন পাওয়া যাবে। এর চেয়েও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এখন থেকে অনলাইনে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করা যাবে। আগামী ১ মে থেকে আর ম্যানুয়াল সিস্টেমে নকশা অনুমোদনের কোনো আবেদন নেব না। ফলে ঘরে বসেই আপনি কম্পিউটার, ল্যাপটপে নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন। অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আগে সময় ছিল ১৫০ দিন। সেখান থেকে এই সময়সীমা কমিয়ে এনেছি মাত্র ৫৩ দিনে। আপনার ৫৩ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও কাগজপত্রসহ নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি মেসেজ পেয়ে যাচ্ছেন যে আপনার নকশা অনুমোদিত অথবা এই এই কারণে আপনার নকশা অনুমোদন করা সম্ভব হয়নি। ফলে জনভোগান্তির যে অভিযোগ আছে, সেই ভোগান্তি থেকে একেবারেই নাগরিকরা পরিত্রাণ পেয়ে যাবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি চারটি স্তর বা ধাপের কথা বলেছেন। এই ধাপগুলো কী?

রেজাউল করিম : এই ধাপ বা স্তরগুলো হচ্ছে-১. ভূমি ছাড়পত্র, ২. বৃহৎ ও বিশেষায়িত প্রকল্প অনুমোদন, ৩. নকশা অনুমোদন এবং ৪. অকুপেন্সি সার্টিফিকেট। এই চারটি ধাপের জন্য মাত্র ৫৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : উত্তরা ফ্ল্যাট প্রকল্প হচ্ছে আপনার মন্ত্রণালয়ের একটি বড় প্রকল্প। দাম বেশি হওয়ার কারণে এই প্রকল্পের অনেক ফ্ল্যাট এখনো অবিক্রীত। এ বিষয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

রেজাউল করিম : কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি এর অন্যতম কারণ, অনেকের ধারণা ছিল এটি সরকারি প্রকল্প। এটি কবে নির্মাণ হবে তা অনিশ্চিত। আবার অনেকের ধারণা ছিল অনেক দূরবর্তী এলাকা, নাগরিক সুবিধা থাকবে কি না, সেবা-সুযোগ থাকবে কি না। আমরা ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছি, সেখানে এখন যারাই যাচ্ছেন তারা আগ্রহী হয়ে কেনার জন্য আবেদন করছেন। হাজার হাজার আবেদন আসছে। আমাদের বুয়েট থেকে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক ফ্ল্যাট নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমার বিশ্বাস, ছয় মাস পর একটি ফ্ল্যাটও বিক্রি হতে বাকি থাকবে না। যে আশঙ্কায় অনেকে ফ্ল্যাট কিনতে দ্বিধান্বিত ছিলেন সেই শঙ্কার উত্তরণ ঘটেছে। আমি সরেজমিনে গিয়েছি। এখনই অনেকে ফ্ল্যাটে উঠে বসবাস শুরু করেছেন। এসব ফ্ল্যাটের সামনে প্রশস্ত জায়গা, খেলার মাঠ, মসজিদ থেকে শুরু করে যেসব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে, ঢাকার কোনো ফ্ল্যাট প্রকল্পে এমন সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়নি। ফলে এখানে কোনো বন্ধ্যত্ব নেই। আর মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমরা অত্যন্ত ভালো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছি। সে কারণে কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি হলেও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নয়। এর পাশেই ৭ নম্বর ব্লকে আমাদের আরেকটি প্রকল্প আছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ক্রয়সাধ্যের মধ্যে। সেই প্রকল্পের পরিকল্পনা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করার যেসব প্রক্রিয়া, এর দিকে শিগগিরই এগিয়ে যাব। এ ক্ষেত্রে মানুষ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার ভিতরে প্রতি বর্গফুট পাবেন এবং তাদের কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগ করে দেব। তারা একই রকম সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। সেখানে অন্তত ১০ হাজার ফ্ল্যাট হবে। এর বাইরে আমাদের আরেকটি উদ্যোগ আছে। ঢাকায় যারা বস্তিবাসী বা রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ, তাদের জন্য আমরা একটা প্রকল্প গ্রহণ করেছি এবং নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে তারা একেবারেই নামমাত্র ভাড়ায় সারা জীবন বংশপরম্পরায় বসবাস করতে পারবেন। আমরা এটা বিক্রির কথা ভাবছি না এ কারণে যে, অসহায় মানুষের নামে ফ্ল্যাট বরাদ্দের পর দেখা গেল কিছুদিন পর একজন বিত্তবান লোক তাকে ভুল বুঝিয়ে বা কিছু টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটা নিজের নামে নিয়ে নিল। এ কারণে তার স্থায়ী আবাসনের জন্য তাকে ভাড়ার ভিত্তিতে দেব। তিনি ভাড়া পরিশোধ করবেন। বিক্রি করে যাতে তিনি নিঃস্ব হয়ে না যান সে জন্য এই পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : পূর্বাচল নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী? এই প্রকল্পের কাজের গতি তো খুবই স্তিমিত। এটি তো এখনো বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি।

রেজাউল করিম : পূর্বাচলের কাজের গতি স্তিমিত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বেশ কতগুলো মামলা। হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে স্থগিতাদেশ থাকার কারণে অনেক কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় প্রতিকূলতা ছিল, পূর্বাচলে যাদের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তারা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে জায়গা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাদের সঙ্গে দেনদরবার করা এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের খুঁজে বের করা-এসব বিষয়ে বেশ সময় চলে গেছে। পূর্বাচলের বর্তমান অবস্থানটা হচ্ছে, এর তিন-চতুর্থাংশ জায়গায় ২০১৯ সালের মধ্যেই মানুষের বসবাসের উপযোগী করে দেওয়া হবে। সেখানে পানির সংযোগ চলে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ ইতিমধ্যে চলে গেছে, অন্যান্য নাগরিক সুবিধা চলে যাচ্ছে। রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। পূর্বাচলে যাদের আমরা সরেজমিনে দখল দিয়েছি, তারা ২০১৯ সাল থেকেই বসবাস করতে পারবেন, সে অবস্থায় চলে যাচ্ছে। পূর্বাচল হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক স্যাটেলাইট শহর, যেটা রাজউক বা গৃহায়ণের অন্যান্য আবাসন প্রকল্পের থেকে সবচেয়ে বেশি নয়নাভিরাম ও নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন সুশৃঙ্খল একটা নগরে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ঝিলমিল প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা যদি একটু বলতেন...।

রেজাউল করিম : ঝিলমিল প্রকল্পের বিশাল এলাকার দখল আমরা সরেজমিন, গ্রাহকদের যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত, তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। ঝিলমিলে কাজের গতি আগের চেয়ে বেড়েছে। সেখানেও বিদ্যুৎ সংযোগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে। পানি সংযোগের জন্য যে ড্রেনেজ সিস্টেম, এর কাজ চলছে। সেখানে দিনরাত কাজ চলছে। কয়েকটি সেক্টর এখনই বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে। সেখানে গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহ করব। গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার মতো অবস্থা থাকলে আমরা তা করে দেব। আরেকটি ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, ঝিলমিলের একটি অংশ জুড়ে মালয়েশিয়া সরকার ও মালয়েশিয়ার প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হয়েছে। তারা সেখানে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। নাগরিকদের বসবাসের জন্য ঝিলমিল প্রকল্প একটি অনবদ্য প্রকল্প হবে ফ্ল্যাট ও প্লটের ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করে প্লট বিক্রির কোনো সম্ভাবনা আছে কি না?

রেজাউল করিম : ঢাকার অপর পারে কেরানীগঞ্জের একটা বিশাল এলাকায় আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করছি। গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষায় যদি আমরা দেখি যে এলাকাটি আবাসনের উপযোগী, তাহলে সেটিকে আমরা একটি নতুন আবাসন এলাকা হিসেবে গ্রহণ করব। এখানে প্রায় ২০০ একর জমি নিয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে আমাদের কিছু বর্ধিত প্রকল্প রয়েছে। রাজউক ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষেরও প্রকল্প রয়েছে। আমরা চাইছি যে শুধু ঢাকায় বসবাস করা লোকেরাই আবাসন সুবিধা পাবে তা নয়, বড় জেলাগুলোতেও ইতিমধ্যে হাউজিং প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ছোট জেলাগুলোতে আমরা পর্যায়ক্রমে হাউজিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সর্বশেষ খবর