শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

চুক্তি ছাড়াই শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক

প্রতিদিন ডেস্ক

ভিয়েতনামে আয়োজিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে দুদিনের শীর্ষ বৈঠক গতকাল কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে উভয়পক্ষই একে-অপরের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রত্যাশা করা হয়েছিল দুই শীর্ষ নেতার দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকে উভয়পক্ষই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে একটি চুক্তির ঘোষণা দেবে। কিন্তু তা না হওয়ায় স্পষ্ট হয়েছে, কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হয়নি। তাছাড়া উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে একতরফাভাবে পারমাণবিক সব অস্ত্র পরিত্যাগের শর্ত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু পিয়ংইয়ং এ শর্তে রাজি নয়, তাও পরিষ্কার হয়েছে। চুক্তি ছাড়া শীর্ষ বৈঠক শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এবার কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে আরও বৈঠকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’ 

এ বিষয়ে বৈঠকের পরে হ্যানয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃতীয় সম্মেলনের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা হয়নি বৈঠকে। অবরোধের বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা (উত্তর কোরিয়া) পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। তবে আমরা তা করতে পারি না।’ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার কথা, এটা করতেই হবে। আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে।’ তিনি কিম সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি বেশ লোক, বেশ একটি চরিত্র। তিনি খুবই দৃঢ়।’ এদিকে এ বৈঠকের শুরুর দিন গত বুধবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন জানিয়েছিলেন, হ্যানয়ে তার উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি নিরস্ত্রীকরণে ইচ্ছুক। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আমি না চাইতাম, আমি কখনোই এখানে আসতাম না।’ তার এ ভাষ্যের প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সম্ভবত এটিই সবচেয়ে সেরা জবাব।’ কিমের প্রতি তার ‘ব্যাপক শ্রদ্ধা’ আছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তিনি সত্যিকারের চুক্তি চান। কোনো রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হচ্ছে না- এতেই আমি খুশি। কোনো তাড়াহুড়া নেই, আমরা সঠিক চুক্তি করতে চাই।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বৈঠকের প্রথমদিনে উভয় নেতাই খোশ মেজাজে ছিলেন। এ মেজাজেই তারা নৈশভোজ করেন। এর আগে সন্ধ্যায় একান্ত বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। ২০ মিনিটের ওই বৈঠকে মূল আলোচনার ফঁাঁকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, কিমের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে এবং তাদের সম্পর্ক খুবই সুদৃঢ়। পরে নিজেদের উপদেষ্টাদের নিয়ে নৈশভোজ সারেন তারা। নৈশভোজে ট্রাম্প কিমকে ‘মহান নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। জবাবে কিম তাকে ‘সাহসী’ বলে মন্তব্য করেন। এরপর এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘গ্রেট মিটিংস, খুব ভালো সংলাপ হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর