সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

যত চ্যালেঞ্জ তত সুযোগ

মানিক মুনতাসির

যত চ্যালেঞ্জ তত সুযোগ

রুবানা হক

বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী রুবানা হক বলেছেন, তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। এ খাত প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে যত চ্যালেঞ্জ তত সুযোগ। এমন কি এ খাতে চ্যালেঞ্জ ছাড়া কোনো সম্ভাবনাও তৈরি হয় না। ফলে আমি বলব, এটি চ্যালেঞ্জহীন খাত নয়। তবে এ খাতে দুটো ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো হলো- ভাবমূর্তি আর দাম। আমি দায়িত্বে এলে সবার আগে এ দুটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। রুবানা হক বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ব্রাজিল, রাশিয়াসহ যেসব দেশে ট্রেড ফেসিলিটি থেকে আমরা বঞ্চিত সেসব দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ট্রেড ফেসিলিটিজগুলো আদায় করা হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে লবিস্ট নিয়োগ করা হবে। এ খাতের দুটি ঘাটতির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ খাতের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। যে কোনো ঠুনকো ঘটনা ঘটলেই এ দেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক খবর প্রচার হয়। এতে ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় আমাদের দেশে কমপ্লায়েন্স কারখানার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অথচ আমরা অনেক কম দাম পাই। শুধু তাই নয়, দাম কমছে আর কমছেই। এ বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। শ্রমিক অসন্তোষের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনোভাবেই শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের গ্যাপ না থাকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা শ্রমিক-মালিকের মধ্যে ন্যূনতম কোনো গ্যাপ তৈরি হলে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ার আশঙ্কা থাকে, যারা সুযোগসন্ধানীর ভূমিকা পালন করে এবং এ খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলে। তারা সব সময় মানুষের দারিদ্র্য ও হতাশাকে পুঁজি করে। এতে শ্রমিকরা না বুঝে খারাপের দিকে ধাবিত হয়। শ্রমিকদের প্রতিটি কথাই শোনা হবে। কেননা শ্রমিকরা হচ্ছে এ খাতের প্রাণ। তারা না থাকলে এ খাত কোনোভাবেই এতটা অগ্রগতি সাধন করতে পারত না। অথচ তারা কিন্তু বেশি কিছু চায় না। আমাদের আরেকটা সমস্যা হলো-নিজেদের সমস্যাগুলো গুছিয়ে বলতে পারি না। যার ফলে দর কষাকষিতে আমরা হেরে যাই। অথচ অন্য দেশ যেগুলো আমাদের চেয়ে কম কমপ্লায়েন্সভুক্ত কারখানায় পোশাক তৈরি করছেন তারাও বেশি দাম পান। এক্ষেত্রে নিজেদের দূতিয়ালিগুলো নিজেকেই গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কমপ্লায়েন্সভুক্ত কারখানা থাকা সত্ত্বেও দাম কম পাই। এটা কোনোভাবেই হতে পারে না। এসব জায়গায় ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশ বলতে আমরা শুধু ফায়ার ফাইটিংকেই বোঝাই এটা ঠিক নয়। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু ইমিডিয়েটকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ না করে একটা ভিশন নিয়ে করতে হবে। এভাবে অন্তত ১০টি জায়গায় ঠিক করে পরিকল্পনামাফিক মালিক-শ্রমিক, সরকার, স্টেকহোল্ডর, বায়ারসহ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর