মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেবী শেঠীকে ঘিরেই যত আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেবী শেঠীকে ঘিরেই যত আলোচনা

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বনামখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী এসেছিলেন ঢাকায়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসার অনুরোধ জানানোর পর সব কাজ স্থগিত করে বাংলাদেশে ছুটে আসেন তিনি। পরে তার পরামর্শেই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় ওবায়দুল কাদেরকে।

কলকাতার উপ-হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুব দ্রুত ডা. দেবী শেঠীর যাবতীয় ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। এরপর বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ ফ্লাইটে দুপুর ১২টার দিকে দেবী শেঠীকে তুলে দেওয়া হয়। পৌনে ১টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালে এসে তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, শুরুতে ডা. দেবী শেঠী সেতুমন্ত্রীর সব রিপোর্ট দেখেন। এনজিওগ্রাম দেখার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরে ডা. শেঠী বলেন, তার যা চিকিৎসা প্রয়োজন সবটাই করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি চিকিৎসা ইউরোপ-আমেরিকাতেও হয় না। এখন চাইলে আপনারা তাকে দেশের বাইরে শিফট করতে পারেন। ‘সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদেরকে উদ্দেশ করে ডা. শেঠী বলেন, ‘ইউ আর ভেরি লাকি (আপনি খুবই ভাগ্যবান) যে, তার চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয় তার সবই এখানে করা হয়েছে। এখন আপনারা যে কোনো সময় তাকে দেশের বাইরে নিতে পারেন।’ পর্যবেক্ষণ শেষে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক পরিস্থিতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন ডা. দেবী শেঠী। পরে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। এদিকে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী আসার খবর ছড়িয়ে পড়তে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগে ভিড় করেন অন্য রোগীর স্বজনরা। দেবী শেঠী ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কী বলেছেন তা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন সংবাদ সম্মেলন চলাকালে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন, শেঠী কোথায়? আমার এক রোগী এখানে ভর্তি আছেন। এত বড় চিকিৎসক, একটু কথা বলতাম। এর মাঝখানে কেউ একজন তার প্রশ্ন শুনে ও পরিস্থিতি বুঝে বলে ওঠেন, দেবী শেঠী ওবায়দুল কাদেরকে দেখেই চলে গেছেন। এ কথা শুনে ওই স্বজনের মন খারাপ হয়ে যায়। শুধু বিএসএমএমইউর নয়, ডা. শেঠীর আসার খবরে তার সঙ্গে রোগীর বিষয়ে পরামর্শ করতে ছুটে আসেন বারডেম হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজনও।

সর্বশেষ খবর