শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জ বেশি নারী বিজ্ঞানীর

- মোসাম্মৎ শামসুন্নাহার, বিজ্ঞানী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জ বেশি নারী বিজ্ঞানীর

একজন নারী বিজ্ঞানীকে তার সংসার ও চাকরি দুটোই একসঙ্গে সামাল দিতে হয় কিন্তু পুরুষ বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন ব্যাপার। তাদের সাংসারিক দায়িত্ব নারীদের  তুলনায় কম। এজন্য নারীর চেয়ে পুরুষ বিজ্ঞানীর চ্যালেঞ্জও কম। আবার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মেয়েদের বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। এজন্য কর্মক্ষেত্রেও নারী বিজ্ঞানীদের চ্যালেঞ্জ বেশি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষক মোসাম্মৎ শাসমুন্নাহার এসব কথা বলেন। এই নারী গবেষক বলেন, বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণা ও কৃষিখাতেও এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ৫০-৫০ অংশগ্রহণ দেখা যায়। আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হয়েছিলাম সে সময় মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ছিল ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আর বর্তমানে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আবার কোনো ক্ষেত্রে তা ছেলেদের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ। শামসুন্নাহার বলেন, সামগ্রিকভাবে যখন নারীর ক্ষমতায়ন হয় তখন তাদের অধিকারবোধ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি তারা দেশের জন্যেও অবদান রাখতে পারেন। যেমনটি আমরা নারী গবেষকরা দেশের জন্য অবদান রাখছি। আর নারীর ক্ষমতায়ন হলে পরিবারেও তার মূল্যায়ন বৃদ্ধি পায়। 

তিনি বলেন, কাজের প্রয়োজনে একজন নারীকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় সেক্ষেত্রে কর্মজীবী নারী যদি পারিবারিকভাবে তার মা-বাবা ও স্বামীর কাছ থেকে সহযোগিতা পান তবে নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না।

শামসুন্নাহর আরও বলেন, দেশের কৃষিকাজে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে তা পুরুষবান্ধব। কিন্তু নারীবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবস্থা করা গেলে কৃষি খাতে ও গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাবে। আবার ফসল উৎপাদনের একটি বড় অংশের সঙ্গে নারীরা জড়িত থাকলেও এক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানের কথাই সব সময় বলা হয়। এই নারী বিজ্ঞানী বলেন, একজন নারীর বিজ্ঞানী হিসেবে পেশাজীবন গড়তে হলে মূল হচ্ছে তার সদিচ্ছা। আবার বর্তমানে নারীরাও কৃষি গবেষণার জন্য বেশ ‘ফিট’। ঠান্ডা মাথায় আগ্রহ সহকারে গবেষণা কাজ চালিয়ে যেতে পারলেই নারীরা গবেষণার কাজে ভালো করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর