সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে সংসদ থেকে বের করা না হলে আলেমরা কঠোর আন্দোলনে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুশিয়ারি দেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং রাশেদ খান মেননের কওমি মাদ্রাসা নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানিরা কাফের, তাদের যারা কাফের মনে করে না তারাও কাফের। রাশেদ খান মেনন তাদের পক্ষ নিয়ে কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলেছেন, তারাও তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, এ দেশে কওমি মাদ্রাসা সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনের বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে। দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং অন্যায়মুক্ত দেশ গড়তে অবদান রাখছে আলেমরা। তাদের নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস তারা কীভাবে পায়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তার বক্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি। না হলে এ দেশের তাওহিদি জনতা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, শাহরিয়ার কবিরসহ মেননের মতো আরও যারা নাস্তিক রয়েছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। মেননকে সংসদ থেকে বের করা না হলে ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী জনতা কঠোর অবস্থানে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাশেদ খান মেনন মারা গেলে তার জানাজা ও মুসলমানের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। মেনন-ইনুদেরকে এ দেশের মাটি গ্রহণ করবে না।
