শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

মিছিলের পর মিছিল আর সমাবেশে উত্তাল ঢাকা নগরী

তানিয়া তুষ্টি

মিছিলের পর মিছিল আর সমাবেশে উত্তাল ঢাকা নগরী

একাত্তরের এই দিনে ঢাকা নগরী মিছিল ও সমাবেশের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। মিছিলের পর মিছিল আর সমাবেশের পর সমাবেশে উত্তাল হয়ে উঠল ঢাকা নগরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে দেশজুড়ে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলতে থাকায় প্রশাসন কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।  ৯ মার্চ বিকালে পল্টন ময়দানের জনসভায় জনতার ঢল নামে। সভায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকেও তাই বলি, অনেক হয়েছে আর নয়। তিক্ততা বাড়াইয়া আর লাভ নাই। লাকুম দ্বিনুকুম ওয়াল ইয়া দ্বিন। অর্থাৎ ‘তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার’ এই নিয়মে পূর্ববাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করিয়া লও।” ভাসানী আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবের সঙ্গে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল আন্দোলন শুরু করব। খামাখা কেউ মুজিবুরকে অবিশ্বাস কর না। মুজিবুরকে আমি ভালোভাবে চিনি।’ জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট প্রয়োজনে এদেশ থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের ও তাদের পরিবারবর্গকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকাস্থ জাতিসংঘের উপ-আবাসিক প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেন। জাপানও তার দেশের নাগরিকদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন পশ্চিম জার্মান সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছাত্রসভায় গৃহীত ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সামরিক কর্তৃপক্ষ এদিন ঘোষণা করে, রাজশাহীতে প্রতি রাত ৯টা থেকে আট ঘণ্টার জন্য সান্ধ্য আইন জারি থাকবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সকালে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে মিছিল নিয়ে আসা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) বাঙালি কর্মচারীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু আলোচনা করেন।

সর্বশেষ খবর