রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে মা মেয়েকে গণধর্ষণ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর শিবপুরে বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে ছয়জন মিলে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকার একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গতকাল সকালে ওই মা বাদী হয়ে শিবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় যুক্ত দেলোয়ার  হোসেন (৩০) ও মো. শফিককে (২৫) গ্রেফতার করেছে। মামলার বাকি আসামিরা হলো মো. মোখলেছ (৩২), মো. বাদল (৪২), বাবু মিয়া (২৫) ও মো. আলমগীর (৪০)। ছয়জনের বাড়িই শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকায়। মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে হবিগঞ্জে ফিরছিলেন মা-মেয়েসহ পাঁচ নারী। সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি এসে বিকল হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি তাদের আরেকটি বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সামনের দিকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা মেয়েকে টেনে নিয়ে যায়। তাকে ফেরাতে মা দৌড়ে যান। এরপর স্থানীয় একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরের দুটি কক্ষে মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ করে ওই ছয় ব্যক্তি। একপর্যায়ে মা-মেয়ের চিৎকারে আসামিরা পালিয়ে যান। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় শিবপুর থানার পুলিশ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর দেলোয়ার ও শফিক পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই মা ও মেয়ের বয়স যথাক্রমে ৫২ ও ৩০ বছর।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ আমীরুল হক শামীম জানান, মা-মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর