সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কারসাজিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া

ড. বদিউল আলম মজুমদার

কারসাজিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া

কারসাজিপূর্ণ প্রক্রিয়ার কারণে মানুষ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়েছে, ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে না। এ জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন ও স্টেকহোল্ডাররা দায়ী বলে মন্তব্য করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

ভোটে মানুষের উৎসাহ নেই। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনের ওপরে সবার আস্থাহীনতার বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন এই নির্বাচন বিশ্লেষক। তিনি বলেন, বর্তমানে ভোটের মূল্য নেই। মানুষ ভাবছে ভোট দিলেই কী? আর না দিলেই কী? আগেই ভোট হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত-উপজেলা নির্বাচন একতরফা হচ্ছে। কে বিজয়ী হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত। তৃতীয়ত-ভোটকেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারবে কি না? এমন শঙ্কা কাজ করছে সবার মাঝে। অতীতের ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ এমন ভাবছে। সব মিলে পুরো ভোটপ্রক্রিয়ার ওপরেই মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টির জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। আর নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করতে স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। ইসির প্রধান স্টেকহোল্ডার হচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে অন্যান্য স্টেকহোল্ডার তথা রাজনৈতিক দল, মিডিয়ার সহযোগিতাও প্রয়োজন হয় ইসি। কিন্তু মিডিয়াও সব কিছু লিখতে পারছে না। উপজেলা নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, প্রশাসনিক, দলীয় ও বহুমুখী চাপে অনেক উপজেলায় প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন। আর নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পায়। আর ভোট যদি না হয় তবে ভোটাররা ভালো জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে কীভাবে? নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগের কথা বিদেশি গণমাধ্যম ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন সিইসি ও একজন নির্বাচন কমিশনার তাদের বক্তব্যে সেই অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

সর্বশেষ খবর