বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে বাংলার মানুষ প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক

যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে বাংলার মানুষ প্রস্তুত

১৯৭১ সালের ২০ মার্চ দেওয়া এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে বাংলার মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।’ এদিন, ঢাকায় প্রেসিডেন্ট হাউসে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সোয়া দুই ঘণ্টার বৈঠক হয়। এটি ছিল তাদের মধ্যকার চতুর্থ দফার বৈঠক। এই বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু বিবৃতিটি দেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু যখন প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বাইরে এলেন, তখন অপেক্ষারত শত শত কণ্ঠের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তাকে আচ্ছন্ন করে। তখনকার বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। চারুকলার শিল্পীরা স্বাধীনতা পোস্টার বুকে বেঁধে অসহযোগ আন্দোলনে রাস্তায় বের হন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ২৩ মার্চ স্বাধীন পূর্ববাংলা দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানান। এ দিনের আলোচনা প্রসঙ্গে পরের দিন তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান সংবাদ শিরোনাম করে, ‘মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক সংকট নিরসনের পথে এগোচ্ছে।’ সংবাদে বলা হয় ‘রাষ্ট্রীয় নীতির বর্তমান সংকট নিরসনের পথে মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনায় গতকাল (শনিবার) অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। অসহযোগ আন্দোলন শুরুর দিকে বাংলাদেশে স্থলবাহিনীর শক্তি ছিল এক ডিভিশন, ২০ মার্চ তা এসে দাঁড়ায় দুই ডিভিশনের অধিক। ২০ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ও সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী এ কে ব্রোহি ঢাকায় আসেন। তিনি সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি মিয়া মোমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, ন্যাপপ্রধান খান আবদুল ওয়ালী খান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মাহমুদ, পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান সরদার শওকত হায়াত খান, বেলুচিস্তানের ন্যাপ নেতা গাউস বক্স বেজেঞ্জা প্রমুখ নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। ২০ মার্চ কন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর