নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, সব দলকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে প্রকাশ্যে গোপনে চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরও কেউ না এলে আমাদের কিছু করার থাকে না। নির্বাচন সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করছি। নির্বাচন এমন সুষ্ঠু করা হচ্ছে তারা পরে কপাল চাপড়াচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে নির্বাচনে না এসে ভুল করছে। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ দুই উপজেলায় প্রার্থীদের নিয়ে টানা আড়াই ঘণ্টা মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এ সময় জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

যদি কোনো ভোটার ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় মা কেমন ভোট দিলেন, বলবে বাবা আমার ভোটটা আমি দিয়েছি। তাহলে একশোতে একশো। আর যদি বলে বাবা আমার ভোটটা কে যেন দিয়ে দিছে তাহলে একশোতে জিরো। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হবে। ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হবে, জেলে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের বলেছি, কেউ নির্বাচনি আচরণবিধি ভাঙলে এমন তথ্য প্রমাণ ভিডিওসহ রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেন তারা ব্যবস্থা না নিলে আমাকে বলেন আমি দেখব। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় পেশি শক্তি দিয়ে গুণ্ডা-পান্ডা দিয়ে কেন্দ্র দখল হয়ে যায় এমন ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রে ভোট বন্ধ। পরে একটা একটা করে ভোট নেওয়া হবে।