সন্ত্রাস দমনের নামে ব্লক রেইড ও চিরুনি অভিযান চালিয়ে গণহারে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ দলটির সাবেক ১৪ জন সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সঠিক তালিকা প্রকাশসহ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান তাঁরা। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এসব দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক ও যৌক্তিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের জন্য অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং নির্বিচার গুলি চালানো হয়েছে; যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তাঁরা বলেন, ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন আলোচনার মাধ্যমে শুরুতেই মীমাংসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তা প্রলম্বিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো? কারা এর জন্য দায়ী, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করে জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।
বিবৃতিতে জাপা নেতারা আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহত সবার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে দেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান। যৌথ বিবৃতিদাতারা হলেন সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, রাহগীর আল মাহি শাদ এরশাদ, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, জিয়াউল হক মৃধা, ঢাবির সাবেক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম মিলন, ইয়াহ্ হিয়া চৌধুরী, আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস, আবুল কাশেম সরকার, এম এ গোফরান, মামুনুর রশীদ ও মোক্তার হোসেন।