কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার সহায়তা নেবে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। গতকাল কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানান কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম।
বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের বক্তব্য তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা আমাদের তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কমিশনের পরিধির আওতাভুক্ত সব হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে বিশদ তদন্ত করব। এ তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ব্যাপারে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার সাহায্য নিয়ে কে বা কারা এ কর্মকান্ডের জন্য দায়ী তা নিরূপণ করব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন আজ রংপুর যাবে এবং ৮ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে সার্কিট হাউসে অবস্থান করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ সময়ে ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।
এর আগে বৃহস্পতিবার কমিশনের সভাপতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান জানিয়েছিলেন, ১৮ জুলাই এক গেজেটে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিশন করা হয়েছিল। নতুন গেজেটে তিন সদস্যের কমিশন করা হয়েছে। এতে আগের গেজেট বাতিল করা হয়েছে। কাজের পরিধি ও সময় বেড়েছে। এখন ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতা ও সংঘর্ষে নিহতদের মৃত্যুর কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে। ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে হবে।
ওই দিন তিনি জানান, ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে রংপুর সার্কিট হাউসে নিহত আবু সাঈদের বিষয়ে, ৬ তারিখ সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন ও মানিক মিয়ার বিষয়ে, ৭ তারিখ মেরাজুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল তাহেরের বিষয়ে সাক্ষ্য নেবে তদন্ত কমিশন। জনসাধারণ সার্কিট হাউসে এসে এ বিষয়ে তথ্য দিতে পারবে। আর একটি ইমেইল অ্যাড্রেস চালু করা হয়েছে। সেখানেও যে-কেউ নিজের বক্তব্য পাঠাতে পারবেন। রংপুর থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে সব জায়গায় যাবেন বলে জানান হাই কোর্ট বিভাগের এই বিচারপতি।